২ সেপ্টেম্বর তামলাখাল থেকে উদ্ধার হয় সোনিয়া মিদ্যার বস্তাবন্দি দেহ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের শ্বশুর তন্ত্রসাধনা করেন ৷ তন্ত্রসাধনা করেই খুন করা হয়েছে মহিলাকে ৷ এমনই ধারণা পুলিশের ৷ মৃতার শ্বশুর মলিন্দ্র মিদ্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ৷ এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মলিন্দ্রকে আটক করে পুলিশ ৷ পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে সে ৷ মলিন্দ্র জানায়, সোনিয়াকে খুন করে বস্তায় ভরে রিকশায় চাপিয়ে তামলাখালে ফেলে এসেছে তারা ।
advertisement
স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক ছিলেন তার স্বামী ৷ খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী রাজেশ মিদ্যাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ রাজেশ ঐ হাসপাতালে গ্রুপ-ডি কর্মী।
আরও পড়ুন: ‘মেরে পা ভেঙে দেব !’ বাবুলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কি জানালেন দলের নেতা-কর্মীরা ?
২ বছর আগে ঝাড়খন্ডের দুমকা নিবাসী সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজেশের । বিয়ের পর থেকেই সোনিয়ার উপর চলত মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার ৷ এমনটাই অভিযোগ প্রতিবেশীদের । তন্ত্রসাধনার জন্যই পুত্রবধূকে খুন করেছে বলে দাবি করেছিলেন প্রতিবেশীরা ।
গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । মৃতার বাবার বাড়ির সদস্যরা ৭ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করে । এরপরই তদন্ত নামে পুলিশ ৷