কুল বিক্রেতা মুক্তি প্রামানিক জানান, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ভোর থেকেই যুদ্ধ শুরু করেন। সরকারি ভাবে কোন সাহায্যে সহযোগিতাও মেলে না। অভাবের তাড়নায় এইভাবেই জীবন অতিবাহিত করছেন তাঁরা। স্বামী যেটুকু অর্থ উপার্জন করেন, তাতে সংসার অতিবাহিত করাই দুষ্কর। তার উপর আনুষাঙ্গিক খরচ কুলিয়ে ওঠা মুশকিল হয়ে পড়ে দিনের পর দিন। তাই সংসার সামলানোর পাশাপাশি এই তিন মাস কুল বিক্রির ব্যবসা করে পরিবারের অনেক চাহিদা মেটাতে পেরে খুশি তাঁরা।
advertisement
সংসার, রান্না সামলেই করছেন কুল বিক্রি। এই রোজগারেই হচ্ছে এসব। সংসারের পরিস্থিতি এই সমস্ত মহিলাদের করে তুলেছে দশভূজা। বিগত প্রায় ১০-১২ বছর যাবত তাঁরা এই ব্যবসা করছে। এইভাবেই প্রতিদিনের লড়াইয়ে জিতে চলেছেন পাগলিগঞ্জ এলাকার মহিলারা। এসব কুলের মধ্যে আপেল, বল সুন্দরি, বাও, ও নারকেল কুল। যা বেশ সুস্বাদু এবং চাহিদাও রয়েছে অনেক। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত। কুল বিক্রি করে মহিলারা অধিক লাভ পাওয়ায় বর্তমানে জেলার বিভিন্ন গ্রামে এ ফল চাষ শুরু হয়েছে। তাই বলা যেতেই পারে, বাড়ির মহিলাদের কুল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হবার নজির জেলায়।
সুস্মিতা গোস্বামী