বিগত কয়েক বছরে মহিলাদের সেই মুশকিল আসান করে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখিয়েছে নদিয়া জেলা প্রশাসন। নদিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যাতে সহজে স্বল্প সুদে ঋণ পান মহিলারা ও সরল কিস্তিতে শোধ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মদের কারকার, রাতের অন্ধকারে মহিলারা যা করলেন! ভাবতে পারবে না কেউ
advertisement
সম্প্রতি মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদিয়া জেলায় মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৫৪ জন। সেই বছর খোলা বাজারে বকেয়া লোনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে দেখা যাচ্ছে লোন গ্রাহকের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪৬ জন। অর্থাৎ লোন গ্রাহকের সংখ্যা ২ লক্ষের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বকেয়া লোনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বকেয়া লোনের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুকুর থেকে পচা দুর্গন্ধ! কাছে যেতেই আঁতকে ওঠা দৃশ্য, বসিরহাটের গ্রামে সাতসকালে চাঞ্চল্য
এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সীমান্তের নদিয়া জেলায় যে গ্রামের মানুষের লোন নিয়ে পরিশোধ করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, সারা বছর সরকারের তরফ থেকে নানারকম লোনের সুবিধা দেওয়া হয়। যেখানে সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে লোন দেওয়া হচ্ছে। মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কিশান ক্রেডিট কার্ড, এমএসএমই, এনআরএল-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় লোন দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের লোনই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিগুলোর চড়া সুদের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে।
নদিয়া জেলাতেই ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে NRLM(National Rural Livelihoods Mission) প্রকল্পের আওতায় ১২০০ কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। যা যথাসময়ে পরিশোধও করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এই প্রকল্পের আওতায় নদিয়া জেলায় প্রায় ৭ লক্ষ ২০ হাজার মহিলা যুক্ত রয়েছেন।
