TRENDING:

প্রশাসনের দুর্দান্ত উদ্যোগ, স্বল্প সুদ ও সরল কিস্তিতে মহিলাদের ঋণ, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত

Last Updated:

Nadia News: মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানিগুলো থেকে চড়া সুদে ঋণ নেওয়ার দিন শেষ। নদিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঋণের চক্রব্যূহ থেকে এবার পাকাপাকি মুক্তি। যাতে সহজে স্বল্প সুদে ঋণ পান মহিলারা ও সরল কিস্তিতে শোধ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নদিয়া, সমীর রুদ্র: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঋণের চক্রব্যূহ থেকে মিলছে মুক্তি। স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা। এক সময়ে সাংসারিক ও বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানিগুলো থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতেন গ্রামের মহিলারা। একটি সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পর তা শোধ করতে না পেরে আবার অন্য সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করতেন পুরনো ঋণ। এভাবেই ঋণের চক্রব্যূহে আটকে পড়তেন তাঁরা। সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে বাড়িতে চড়াও হতেন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার এজেন্টরা। অপমান ও ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে অনেকেই বেছে নিতেন আত্মহত্যার পথ। তা সত্বেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ না মেলায় মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হতেন মহিলারা।
স্বল্প সুদ ও সরল কিস্তিতে মহিলাদের ঋণ
স্বল্প সুদ ও সরল কিস্তিতে মহিলাদের ঋণ
advertisement

বিগত কয়েক বছরে মহিলাদের সেই মুশকিল আসান করে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখিয়েছে নদিয়া জেলা প্রশাসন। নদিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যাতে সহজে স্বল্প সুদে ঋণ পান মহিলারা ও সরল কিস্তিতে শোধ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মদের কারকার, রাতের অন্ধকারে মহিলারা যা করলেন! ভাবতে পারবে না কেউ

advertisement

সম্প্রতি মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদিয়া জেলায় মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৫৪ জন। সেই বছর খোলা বাজারে বকেয়া লোনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে দেখা যাচ্ছে লোন গ্রাহকের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪৬ জন। অর্থাৎ লোন গ্রাহকের সংখ্যা ২ লক্ষের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বকেয়া লোনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বকেয়া লোনের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ  পুকুর থেকে পচা দুর্গন্ধ! কাছে যেতেই আঁতকে ওঠা দৃশ্য, বসিরহাটের গ্রামে সাতসকালে চাঞ্চল্য

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সীমান্তের নদিয়া জেলায় যে গ্রামের মানুষের লোন নিয়ে পরিশোধ করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, সারা বছর সরকারের তরফ থেকে নানারকম লোনের সুবিধা দেওয়া হয়। যেখানে সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে লোন দেওয়া হচ্ছে। মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কিশান ক্রেডিট কার্ড, এমএসএমই, এনআরএল-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় লোন দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের লোনই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিগুলোর চড়া সুদের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিকেতনে রয়েছে কবিগুরুর ছাপাখানা, ঐতিহ্য-ইতিহাস
আরও দেখুন

নদিয়া জেলাতেই ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে NRLM(National Rural Livelihoods Mission) প্রকল্পের আওতায় ১২০০ কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। যা যথাসময়ে পরিশোধও করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা‌। এই প্রকল্পের আওতায় নদিয়া জেলায় প্রায় ৭ লক্ষ ২০ হাজার মহিলা যুক্ত রয়েছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
প্রশাসনের দুর্দান্ত উদ্যোগ, স্বল্প সুদ ও সরল কিস্তিতে মহিলাদের ঋণ, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল