আরও পড়ুন: এবারে গঙ্গাসাগর যাওয়া হবে আরও সহজ… কীভাবে?
ঘটনার দিন তিনি পৌঁছেছিলেন বেলঘড়িয়া রেল স্টেশনের পাশে এক জলাশয়ে। সেখানে তিনি পানা তোলার কাজ করছিলেন। কাজ শেষ করে যখন তিনি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রেললাইন পার হচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎই একটি দ্রুতগতির মালবাহী ট্রেন চলে আসে। কোনওভাবে তিনি রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। অপূরা শিকারির মৃত্যুতে পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ছিলেন পরিবারে রোজগারের অন্যতম ভরসা। তাঁর স্বামী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: একরাতের ঝড়-শিলাবৃষ্টি পথে বসিয়ে ছাড়ল কৃষকদের! কী হল মুর্শিদাবাদে?
প্রতিদিন ভোরবেলা তিনি বেরিয়ে পড়তেন, কখনও কলকাতা, কখনও হাওড়া, কখনও বা উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে, শুধুমাত্র পানা তোলার কাজ করে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অপূরা ছিলেন অত্যন্ত পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের মহিলা। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অপূরার মতো একজন পরিশ্রমী মহিলার এমন করুণ পরিণতি সমাজের জন্য এক বড় প্রশ্ন। অভাবের তাড়নায় একজন বয়স্ক মহিলাকে প্রতিদিন ট্রেনে-বাসে ঘুরে এভাবে জীবিকার সন্ধানে বেরোতে হয়, অথচ ন্যূনতম নিরাপত্তা বা সরকারি সহায়তা মেলে না।