অভিযোগ, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই ক্লিনিক চালু করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে রোগীর চিকিৎসা। দিনের পর দিন রোগীকে চিকিৎসার নামে রেখে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার করার জন্য ন্যূনতম ডিগ্রি না থাকার পরেও পারিবারিক পরম্পরায় পরিণত হয়েছে এই বেপরোয়া ব্যবসা। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠে এমনই এক ক্লিনিকের হদিশ মিলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুক্রবার পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে দেখে। পাশাপাশি, চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বা ক্লিনিকের নথি দেখাতে না পারায় ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ।
advertisement
এরপরই বাবা আর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। শনিবার বাবা ও ছেলে অভিযুক্তদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, হাইকোর্ট তাঁদের চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছে। সেই নথি তাঁদের কাছে আছে। বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসার করার মতো বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। এর আগেও তাদের একজনের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছিল।
স্হানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ন্যূনতম পরিকাঠামোই নেই। তার মধ্যেই রোগী রেখে চিকিৎসা চালানো হচ্ছিল। ছোটখাটো অপারেশনও হচ্ছিল এখানে। অথচ এখানে কোনও অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত নেই। সেইসঙ্গে এখানে বেআইনিভাবে ক্লিনিক চালানো হচ্ছিল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, পাশের জেলা থেকেও অনেক রোগী আসছিল। এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। যদিও বাসিন্দাদের এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।