পিঠে পুলি সমাগমে মুগের পুলি, ভাজা পুলি, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি এবং সেদ্ধ পুলির মত পৌষপার্বনে খাদ্য সামগ্রী। পিঠের মধ্যে নজর কেড়েছে পাটিসাপটা, গোকুল পিঠে, পোস্তর পিঠে, সরুচাকলি-সহ নানান ধরনের পিঠেপুলি৷
advertisement
এই উৎসবমুখর মেজাজি পিঠেপুলি উৎসবে। পিঠে তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে আটা, ময়দা, চালগুঁড়ো। সেই সঙ্গে দুধ, খোয়াক্ষীর, নারকেল কোরা, চিনি, নলেনগুড। এছাড়াও মুখ ও বিউলির ডাল, সুজি, পোস্ত, আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী ব্যবহার করে নানান ধরনের পিঠে তৈরি করা হয়েছে। পিঠের আকৃতি আবার ডালিয়া ফুল, গোলাপ ফুল, কদম ফুল, মৎস্যকন্যা, কচ্ছপ, চিংড়ি মাছের মত। এই নানান আকৃতির পিঠেপুলি বহু মানুষের নজর কেড়েছে। এদিন বিভিন্ন বয়সের মা মেয়েদের পিঠে পুলি তৈরিতে যেমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখার মত। শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে বহু মানুষের সমাগম পিঠে পুলি উৎসবে।
কোলাঘাটের গৃহবধূ কর্মসূত্রে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রর সিনিয়র নার্স প্রিয়দর্শিকা হাইত জানালেন, “আমরা সারা বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি পৌষ উৎসবে পিঠে পুলি বানিয়ে হাজির হব বলে।” কলেজ ছাত্রী পুজা দাস জানান” এই ধরনের আয়োজন হয় বলে আমরা অংশ নিতে বাড়িতে বিভিন্ন রকমের পিঠে পুলি তৈরি করতে শিখি, অভিজ্ঞতা হয়, শিক্ষা পাই, খুব আনন্দ করি।” আয়োজকদের পক্ষে সুধাংশু সামন্ত রায় জানান, “প্রতি বছরেই কোলাঘাট উৎসবে বাংলা ও বাঙালির বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি প্রথা উৎসব পার্বণ উদযাপন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের এই প্রয়াস।”
এদিন পিঠেপুলি উৎসবে মূল্যায়নের নিরিখে ও গুনগত মানের ওপর বিচার বিশ্লেষণ করে ১৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বাকিদের বিশেষ স্মারক সম্মানে উৎসাহিত করা হয়। ডিসেম্বর মাস মানে শীতকাল।
শীতকাল বাঙালিদের কাছে অন্যতম একটি প্রিয় ঋতু। যার অন্যতম কারণ হল শীত এলেই আসে পিকনিক, আসে নলেন গুড়। আর পিঠেপুলি। খাদ্য রসিক বাঙালির নলেন গুড়ের সঙ্গে পিঠেপুলির মৌতাত অন্যতম প্রিয়। শীতের রকমারি পিঠে পুলিতে মজে যায় বাঙালি। শীত আর পিঠেপুলির মেলবন্ধন ঘটল রূপনারায়ণের তীরে কোলাঘাটে।