স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ভিন জেলার মানুষও ওই তাল বেগুন কিনতে আসেন চাষিদের কাছে। এছাড়াও শীতের মরশুমের সব রকম সবজি মেলে এখানে। তবে ওই স্পেশ্যাল তাল বেগুন পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ভগৎ সিং মোড় থেকে জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে বিধাননগর যাওয়া যায়। ওই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একপাশে বন দফতরের জমি ও অপর পাশে বিওজিএল কারখানার পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইস্পাত পল্লীর প্রায় ১০ জন চাষি প্রায় ৩০ বছর ধরে কয়েক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। অনুর্বর জমিকে উর্বর করে চাষযোগ্য জমিতে পরিণত করেছেন ওই চাষিরা। তবে জলের সমস্যা থাকায় সারাবছর চাষাবাদ হয় না। কেবল শীতকালীন সবজি ফলান ওই চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকুড়া পুলিশে ‘মডার্ন যুগ’! তৈরি ঝাঁ চকচকে ফাইভ স্টার হোটেলের মতো কন্ট্রোল রুম, চলবে বিশেষ নজরদারি
স্পেশ্যাল তাল বেগুন-সহ শীতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, গাজর, মুলো, পালংশাক, লালশাক, ধনেপাতা, টমেটো, কুমড়ো, শিম, মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি চাষ হয় ওই জমিতে। ওই চাষি পরিবারগুলির পুরুষ ও মহিলারা মিলেই কঠোর পরিশ্রম করে সবজি ফলান। তার পরে ওই টাটকা সবজি জমির পাশে তথা রাস্তার ধারে সাজিয়ে বিক্রি করেন। ওই সবজি তাঁদের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে হয় না। জমির পাশ থেকেই ক্রেতারা কিনে নিয়ে যান। তবে শহরের সবজি বাজারের সবজির দামের চেয়ে ওই টাটকা সবজির দাম একটু চড়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রাহকদের দাবি, সবজির দাম চড়া হলেও শহরের বুকে জমির টাটকা সবজি মেলে এটাই বিশেষ প্রাপ্তি। পাশাপাশি এখানকার স্পেশ্যাল তাল বেগুন সচরাচর বাজারে মেলে না। তবে মূল আকর্ষণ ওই তাল বেগুন কিনতেই ভিড় করেন ক্রেতারা। জমি থেকে টাটকা সবজি কেনার আমেজটাই যেন শহুরে মানুষের কাছে এক অনন্য স্বাদের।





