ঝাড়গ্রাম শহরের এক ব্যাঙ্কে প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা বিমা করেছিলেন স্বামী। সে কথা জানতেন স্ত্রী। স্বামী মারা যাওয়ার পর বিমার টাকা দাবি করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে তা দিতে অস্বীকার করে। এমনকি শেষমেশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, থার্ড পার্টি পোর্টালের বিষয়ে তারা কিছু করতে পারবে না। এভাবেই দীর্ঘ দু’বছর কেটে যাবার পর স্থানীয় প্যারালিগ্যাল ভলেন্টিয়ার মোহিত কুমার বেজ বাড়ি বাড়ি সার্ভে করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন।
advertisement
তারপর মধুমিতাকে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন মোহিত। সেখানে লিখিত ভাবে সমস্যার কথা মধুমিতা বেরা জানান জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারকে। বিচারকের নির্দেশে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু হয়। তারপর আদালতে নোটিশ করে ডেকে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। তারপর ১৩ মার্চ স্বামীর মৃত্যুর বিমার ২ লাখ টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে মধুমিতার। মাত্র সাত মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা বিমার টাকা হাতে পাওয়ায় আদালত সোমবার মামলাটির নিষ্পত্তি করে।
মধুমিতা বেরা বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা বিমার ২ লাখ টাকা হাতে পাওয়ায় সংসার চালানোর ক্ষেত্রে কাজে দেবে।” ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি যোজনা বিমার টাকা হাতে পাচ্ছিলেন না তাঁর স্ত্রী মধুমিতা বেরা। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর মাত্র সাত মাসের মধ্যেই উনি ওঁর স্বামীর মৃত্যুর বিমার টাকা হাতে পেয়েছেন। অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরাও আনন্দিত। বিনা মূল্যে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এ ধরনের নানা পরিষেবা প্রদান করে থাকে।”
বুদ্ধদেব বেরা