খড়গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকা তৃণমূল নেতা তরুণ সিং। তাঁরই কাকা বিশ্বনাথ সিং’কে গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে জানা যায় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্বনাথ সিং-এর স্ত্রীর দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। পরে তদন্তে নেমে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসে। এরপরই গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সামশেরগঞ্জ, লালগোলার পর রঘুনাথগঞ্জ! নদী ভাঙনের তালিকায় আরও এক নাম
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভার অন্তর্গত খড়গপুর-২ ব্লকের কেলেয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পেনাচক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন পেশায় শিক্ষক বিশ্বনাথ সিং। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী ও তার যুবক প্রেমিক কে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ইতিমধ্যেই এলাকায় সাড়া ফেলেছে। এই এই প্রসঙ্গে মৃতের ছোট বোন ঝর্ণা সিং জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বৌদির সম্পর্ক ছিল। দাদাকে সরানোর জন্য অনেকদিন থেকেই পরিকল্পনা করেছে। প্রতিনিয়ত ওরা দাদাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াত। কয়েকদিন আগে একাধিক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে গলায় কাপড়ের দড়ি পরিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে।
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত ধুনুচি মাথায় মহিলাদের সর্প দেবীর আরাধনা! একমাত্র এখানেই দেখতে পাবেন
এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ধরা পড়ায় রীতিমত হতবাক প্রতিবেশীরা। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দোষিদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।