জানা যায়, কানপুর এলাকার বাসিন্দা শেখর হালদার (৩০) গত ৫ মাস আগে নিজের গ্রামেরই এক যুবতিকে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই পারিবারিক অশান্তির জেরে শেখর হালদারের স্ত্রী শ্রাবনী হালদার বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর থেকেই শেখর হালদার ও শ্রাবণী হালদার আলাদাই থাকতেন। শেখর হালদারের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সোমবার শেখর হালদারের স্ত্রী তাঁকে ফোন করে বাপের বাড়িতে ডাকে। এর পরেই তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন শেখর হালদারকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর স্ত্রী সুপর্ণা হালদারের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্থি থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখর হালদারকে উদ্ধার করে প্রথমে বানেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উস্থি থানার কানপুর এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী ওই যুবকের শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনদের উপর চড়াও হয়, এমনকি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে তাদের বাঁচাতে পুলিশ অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশের হাত থেকে তাদের কেড়ে নেওয়ার জন্য জনতা তাড়া করে।
আনিশউদ্দিন মোল্লা