পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় মোটর গ্যারেজের কর্মী সিন্টু আদক প্রায়শই নেশা মত্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী রীতা আদকের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালাতেন। এই অবস্থায় রীতা আদক তিন মেয়েকে নিয়ে সাত বছর ধরে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এমনকি নিজে বিড়ি বেঁধে দৈনন্দিন সংসারের খরচ চালিয়ে তিন মেয়ের বিয়ে দেন।
advertisement
শুক্রবার বিকেলে সিন্টু আদক মত্ত অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। বিষয়টি জানতে পেরে রীতা আদক বাপের বাড়িতে পৌঁছে স্বামীকে রড, বল্লম দিয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। রীতা আদক স্বামী সিন্টু আদককে বেঁধে রেখে মারধর করে থানায় চলে যান অভিযোগ করতে। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন স্বামী সিন্টু আদকের প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি কুণ্ডে বাস নাগদেবীর, পূরণ করেন সব ইচ্ছা, জলে পড়লেও সেখানে ডোবে না কেউ!
খবর পেয়ে রাতে গ্রামে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পাশাপাশি রীতা আদককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
রীতা আদক স্বামীর মৃত্যু পূর্ববর্তী ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, এদিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেঁধে রেখে সামান্য মারধর করে থানায় বিষয়টি জানাতে যান। পরে বাড়ি ফিরে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী