ছক্কা হাঁকিয়ে আসানসোল, দুর্গাপুর, শ্রীনেকতনকে তো বটেই কালিম্পঙকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই শহর। কিন্তু সাধারণত এমনটা হয় না। প্রতি বছরই কলকাতা থেকে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি নীচে থাকে এই শহরের। আবার শীতে বর্ধমানের থেকে আরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম থাকে দুর্গাপুর, আসানসোলে। তবে এবার এমন উল্টো ছবি কেন, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য আসলে লোকসভা, ফেব্রুয়ারিতেই বড় পরিকল্পনা বিজেপির! বঙ্গে রথযাত্রা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন উলটপুরাণের অন্যতম কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব রতন ঘোষ বলেন, "শীতকালে সূর্যরশ্মি তীর্যকভাবে পড়ে। আবার সূর্যরশ্মি সব জায়গায় সমানভাবে পড়ে না। তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। বর্ধমানের তাপমাত্রা কমার পিছনে দূষণ একটা কারণ হতে পারে। অন্যান্য জায়গার তুলনায় বর্ধমানের বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। যে কারণে সূর্যরশ্মি এখানে পড়তে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যার ফলে তাপমাত্রা কম থাকছে এখানে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আরেক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র জানা আবার বলেন," ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের একটা সম্ভাবনা থাকে। আবহাওয়ার আঞ্চলিক প্রভাবের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রার হেরফের ঘটে থাকে।"
আরও পড়ুন: ক্যামেরা দেখে অবশেষে মিলল হদিশ! বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ায় ধৃত ৩
তবে, তাপমাত্রায় এই হঠাৎ পতনের পিছনে মূলত দূষণকেই দায়ী করছেন আবহবিদেরা। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে অনেক এলাকায় অনেক অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটছে। কোথাও অতিরিক্ত ঠান্ডা আবার কোথাও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রার এই ওঠানামার অন্যতম কারণ এই বিশ্ব উষ্ণায়ন।
তবে, আবহবিদেরা বলছেন, বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামা বা সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মধ্যে এখনই অস্বাভাবিক কিছু দেখা যাচ্ছে না। এটা স্বাভাবিক। অতীতে এমনটা হয়েছে। কোনও কোনও বছর প্রাকৃতিক নানা কারণে শীত বাধাপ্রাপ্ত হয়। এবার এখন আকাশ পরিষ্কার থাকায় ভাল শীত পড়েছে।