মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকা স্থাপত্য় যে বেশ প্রাচীন তা মানছেন ইতিহাসের গবেষকরা। এই সুড়ঙ্গ অন্তত পক্ষে তিনশো থেকে চারশো বছরের পুরনো তা সোমবার পরিদর্শন ও খনন কাজের পর জানিয়েছিল রাজ্য সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সংগ্রহ করা নমুনা এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে খনন চালানো হবে কিনা তা সেই পরীক্ষার পরই জানা যাবে। একেবারে তলার অংশের মাটি, কাঠ কয়লা, খোলামকুচি বিশ্লেষনের কাজ চলছে। আপাতত বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখেছে ভাতার থানার পুলিশ।
advertisement
মাহাতার বাসিন্দারা বলছেন, "গ্রামের একেবারেই গা দিয়ে বয়ে চলেছে কুনুর নদী। তার পাশেই মিলেছে এই সুড়ঙ্গ। আগে কুনুর নদী ওই জমির পিছন দিয়ে বইতো। অনেক আগে নদী বন্যার সময় গতি পরিবর্তন করে। তখন সেইসব পুরনো নির্মাণ মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকতে পারে। মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসে ভাঙা ইট"। বাসিন্দারা বলছেন, "আশপাশে কি আছে তা খনন করে দেখা হোক। কতদিনের পুরনো নির্মাণ, তা কতদূর বিস্তৃত ছিল, মাটির নিচে গুপ্তধন আছে কি নেই সব কিছুই তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে"।
ইতিহাসের গবেষক সর্বজিত যশ বলেন, "ভাতার মঙ্গলকোটে অজয় ও কুনুর নদীর তীরের এলাকাকে প্রত্নতত্ত্বের আকর ভূমি বলা হয়। এই এলাকার জনপদ বহু প্রাচীন। দু হাজার বছর আগেও এখানে সভ্যতা থাকার প্রমাণ মিলেছে। মনসা মঙ্গল কাব্যের জন্য পরিচিত এই এলাকা। তাই খনন কার্য হলে ইতিহাসের নিরিখে তা বিফলে যাবে না। বরং অনেক অজানা তথ্য মাটির তলা থেকে উঠে আসতে পারে"।
শরদিন্দু ঘোষ