জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই খাজা মিষ্টির চাহিদা হু হু করে বেড়ে গেছে। ভক্তরা এখন এই খাজা’কে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ হিসেবেও মানছেন। মন্দির দর্শন শেষে অনেকেই বাড়ির জন্য বা আত্মীয়স্বজনের হাতে দেওয়ার জন্য খাজা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দোকানগুলিতে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাসে বিক্রির পরিমাণ অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
খাজা মিষ্টি তৈরি হয় মূলত ময়দা দিয়ে। প্রথমে পাতলা করে ময়দা বেলে নেওয়া হয়, তারপর ঘি বা তেলে ভাজা হয় সোনালি রঙে। এরপর চিনি বা গুড়ের রসে ভিজিয়ে তৈরি হয় খাস্তা, মিষ্টি খাজা। বর্তমানে নলেন গুড় খাজা, চকোলেট খাজা, এমনকি বাদাম খাজাও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজি খাজার দাম ১২০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হলেও ক্রেতারা স্বাদের জন্য দামের দিকে খুব একটা নজর দেন না। দিঘার খাজা ব্যবসায়ী সত্যজিৎ জানা বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর খাজার জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মত বেড়েছে। আগে যাঁরা কেবল চা বা নারকেল জল খেতেন, তাঁরাও এখন খাজা কিনে খাচ্ছেন।’
এখন খাজা মিষ্টিই দিঘার রাজা। সমুদ্রের হাওয়া, ঢেউয়ের ছন্দ আর জগন্নাথ মন্দিরের দর্শনের সঙ্গে খাজা মিষ্টির স্বাদ যেন সম্পূর্ণ ভ্রমণের তৃপ্তি এনে দেয়। আপনি যদি দিঘায় এসে সমুদ্র স্নান করেছেন, জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেছেন, অথচ খাজা মিষ্টি খাননি— তাহলে আপনার দিঘা ভ্রমণ সত্যিই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। কারণ পর্যটকদের কথায় এখন দিঘা ভ্রমণের পূর্ণতা আসে এই খাজা মিষ্টি স্বাদে।