বর্তমানে দ্রুততার সঙ্গে চৈতন্যদ্বার, ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। মন্দির এলাকার রাস্তা – সম্প্রসারণ, বিদ্যুতায়ন, প্রশাসনিক ভবন, ভোগ বিপণন কেন্দ্র তৈরি সহ যাবতীয় কাজ প্রায় সম্পূর্ণের পথে। সেজে উঠছে চারপাশ। একেবারে উৎসবের পরিবেশ। এরই মধ্যে কলকাতার বিশ্ববাংলা কনভেনশন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন সংক্রান্ত ঘোষণায় আনন্দে মাতোয়ারা সমুদ্র শহরের বাসিন্দারা। গোটা দিঘা জুড়ে খুশির হাওয়া এনে দিয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন এগিয়ে আনার খবর। আগামী ২৯ এপ্রিল উদ্বোধন হবে দিঘা – জগন্নাথধাম সংষ্কৃতি কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘা মাঝে ২০ একর জমির ওপর ২০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচে তৈরি দিঘা জগন্নাথ মন্দির রাজ্যের পর্যটন মুকুটে বাড়তি পালক এনে দিয়েছে।
এরপরে আগামী দিনে এই প্রকল্পকে ঘিরে সমুদ্র কন্যা দিঘার পর্যটনের ভবিষ্যৎ এখন আরও বেশি উজ্জ্বল। দিঘা শুধুমাত্র আর সমুদ্র কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র না বরং মন্দিরকেন্দ্রিক ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে বদলে যাবে। মন্দির নির্মাণ শুরুর দিন থেকেই মন্দির উদ্বোধন হওয়া নিয়ে আগ্রহ আছে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে। ফলে উদ্বোধনের তারিখ এগিয়ে আসা নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ভালবাসার মাসেই সঙ্গী খুঁজে পাবে এই ৫ রাশি! আপনার প্রেম ভাগ্য কেমন? জানুন
এ বিষয়ে দিঘা – শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘শুভ কাজ যত তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসে ভাল। জগন্নাথ মন্দির নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে একটা আলাদা আবেগ তৈরি হয়েছে। সকলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে চান।’ শ্রীক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত প্রায় সমান উচ্চতার এই কলিঙ্গ স্থাপত্য নির্মাণ ২৪ এর ডিসেম্বর এসে দেখে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
১১ ডিসেম্বর পরিদর্শন শেষে মন্দির উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ এপ্রিল অক্ষয়তৃতীয়ার দিন মন্দির উদ্বোধনের তারিখ স্থির হয়েছিল। কিন্তু তিথি মেনে ২৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হবে পূজার্চনা। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। অর্থাৎ একদিন আগেই উদ্বোধন হচ্ছে মন্দিরের। আর তাতেই খুশির হাওয়া দিঘা জুড়ে।
সৈকত শী