বর্তমান সময়ে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানোর রেওয়াজ বেশি হলেও পাঁচলা শুভআড়া গ্রামে ভিন্ন ছবি। গ্রামের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা, অন্যান্য বিদ্যালয় পেড়িয়ে এই বিদ্যালয়ে আসে। এই সময়ে জেলার বহু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। ক্রমব বর্ধমান ছাত্র সংখ্যার দিক থেকে জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে অন্যতম শুভআড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
advertisement
পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নানা বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগী করে তোলা এই বিদ্যালয়ের অন্যতম দিক। শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ সন্তান রূপেই আদর যত্নে শিক্ষিত করার চেষ্টা করেন বলেই জানালেন স্থানীয়রা। প্রতিটি মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে নানা বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সারা বছর। লেখাপড়ার পাশাপাশি নাচ গান আবৃত্তি তো রয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে বিক্রি হল লাখ লাখ কন্ডোম, ঠান্ডাপানীয়, আর…? ‘অন্য পার্টি’তে মাতল দেশ
শিশু বয়স থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক জ্ঞান ও পরিবেশ চেতনায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মিড-ডে-মিল খাওয়ার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে শিশুদের পছন্দের স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। এ এছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্ষশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কারের পাশাপাশি একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে বেছে নেওয়া হয়। যে শিক্ষাদীক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা থেকে সামাজিক জ্ঞান সমস্ত দিক বিচার করে সেরা ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে নির্বাচিত । আর এমন নানা গুরুত্ব দিয়ে গত কয়েক বছরে সরকারি এই প্রাথমিক বিদ্যালয় বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অভিভাবিকা জানান, এই বিদ্যালয় অন্যান্য বিদ্যালয়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতই মনে করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এ প্রসঙ্গে শুভআড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ খাঁড়া জানান, বিদ্যালয় এর প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের মান উন্নয়নের দিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবার আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, শুধু এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা নয়। নাচ গান ও অন্যান্য বিষয়ে পাঁচলা ব্লকের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে শুভআড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিশুদের মত করে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। প্রায় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকও সচেষ্ট । তারাও ভীষণভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতা করছেন। এই ছাত্র-ছাত্রী ও বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে।