শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য জলাধার তৈরি এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। শান্তিপুর থানার নবলা পঞ্চায়েতের নেতাজিনগর এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, সম্প্রতি বসানো জলের পাইপলাইন ফেটে সেখান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত কালো জল বেরোচ্ছে। এই সমস্ত জায়গায় বছরখানেক আগে পাইপলাইন বসানো হয়েছে। বাড়ি-বাড়ি পাইপ লাইন পৌঁছেছে, বসেছে ট্যাপকল। জলাধার তৈরি হচ্ছে। এখনও জল সরবরাহ শুরু হয়নি। কাজেই এই সমস্ত পাইপলাইনে জল থাকার কথা নয়। সেখানে দুর্গন্ধযুক্ত কালো জল কী ভাবে আসছে সেই প্রশ্ন ওঠে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই সমস্ত জায়গায় সুতো রং করার একাধিক ঘরোয়া কারখানা রয়েছে। সেই সব জায়গা থেকেই, কেউ নিজের বাড়িতে যাওয়া পাইপলাইন ফুটো করে বর্জ্য ফেলছে।
জলের পাইপে মিশে যাচ্ছে সুতো কারখানার রঙ
স্থানীয় বাসিন্দা তারক দেবনাথ, সত্য সরকারেরা বলছেন, “এখানে জল সরবরাহ শুরু হয়নি। সম্প্রতি এক ব্যক্তির বাড়ির কাজ করার সময় পাইপলাইন ফেটে যায়। রবিবার বিকালে সেখান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত কালো জল বেরতে থাকে।” তাঁদের দাবি, “এটা সুতো রং করার কারখানার বর্জ্য মেশা জল। এতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশে রয়েছে। জল সরবরাহ চালু থাকলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা ছিল। যারা এই কাজ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”
এ দিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা বিভিন্ন সুতো রং করার কারখানায় যান এবং তাদের বর্জ্য জল ফেলার কী ব্যবস্থা আছে তা খতিয়ে দেখেন। সেখানে পাইপলাইনের যে মুখগুলি বসানো হয়েছিল তা-ও খুলে দেখা হয়। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দূষিত জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। কী ভাবে, কোথা থেকে এই জল মিশল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।
Mainak Debnath