রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান রেল স্টেশনের চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠানামার সিঁড়িতে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ঠের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জখম আট যাত্রী বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সময়ে ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত ঘোষণা হয়নি। সে জন্যই হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে দাবি যাত্রীদের।
advertisement
সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, রেলের নিজেদের মধ্যেই সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম বলছেন ঘটনায় আট জন জখম হয়েছেন। অথচ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলছেন ঘটনায় জখম তিনজন। এই সমন্বয়ের অভাবেই বারবার যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘটনার সময় একসঙ্গে বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন, হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস এসে গিয়েছিল। হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইন লোকালকে ফের হাওড়াগামী মেন লাইন লোকাল করে দেওয়া হয়। অথচ সময় মতো ঘোষনা করা হয়নি। সে কারণেই এই ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।
সাংসদ বলেন, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠানামার সিঁড়ি যথেষ্ট সংকীর্ণ। যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে ওই সিঁড়ি আরও চওড়া করা উচিত ছিল। সেই সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে আরপিএফ মোতায়েন রাখার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেসবের কিছুই ছিল না। পুরোপুরি রেলের গাফিলতি ও উদাসীনতার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও ২০১৯ সালে এই চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামাওঠার সিঁড়িতেই পদপিষ্ঠের ঘটনা ঘটেছিল। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে অনেকজন হতাহত হন। বারেবারেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। কেন এই ঘটনা ঘটল তার বিস্তারিত তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে লিখিতভাবে সেই দাবিই জানাচ্ছি।