সালটা ১৫৭৫, চলছে মোগল-পাঠানের মধ্যে মহাযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে সেনাপতি মানসিংহের সেনা অধ্যক্ষ ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত সিংহ উত্তর রাও। যুদ্ধে জয়লাভের পরেও মোগল সামন্ত লছমিকান্ত রয়ে গেলেন সৌন্দর্য মন্ডিত নির্জন বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকা দাঁতনের সুবর্ণরেখার তীরে। দাঁতনে গড়ে তুললেন রাজবংশ। প্রায় কয়েকশ বছর আগে দাঁতনের উত্তর রায়বাড় এলাকায় বসতি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। রাজবাড়িও ছিল সেখানে। তবে কালের নিয়মে সেই বাড়ি আজ নেই। পরে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে গড় মনোহরপুর গ্রামে বিশাল রাজবাড়ি তৈরি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্যের বাজার, তবু ৫ টাকায় পেট ভরে খাবার! দলে-দলে ছুটে যাচ্ছেন আমজনতা, কোথায়?
প্রায় ১৮৬২ সালে সিংহাসনে বসলেন উত্তরসূরী রামচন্দ্র রায় বীরবর। বীরবর তাদের উপাধি। এখনও মনোহরপুরের এই রাজবাড়িতে লেখা আছে জমিদারি আমলের কাহিনী। প্রতিটি ইঁটের খাঁজে রয়েছে ইতিহাসের পুরোনো গন্ধ। বাড়ি জুড়ে রয়েছে নানান রাজকীয় স্বাদ। জানালা, দরজায় রয়েছে ইন্দো গ্রীক কারুকার্য। ঘরের নিচে পাতালেও রয়েছে কুঠুরি।
আরও পড়ুন: খাঁচার ভিতর মুরগির চিল চিৎকার, ভেসে যাচ্ছে রক্ত! সামনে যেতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য
বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গায় রয়েছে এই রাজবাড়ি। এখন রাজার শাসন নেই। নেই রাজাও। তবে আছে রাজকাহিনী। রাজবংশের উত্তর পুরুষেরা বাড়িতে থাকলেও ধীরে ধীরে ধবংস হচ্ছে রাজবাড়ির নানান দিক। ইতিহাসকে সকলের সামনে বাঁচিয়ে রাখার আবেদন পরিবারের। বাড়িটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন দাবি ইতিহাসবিদদেরও।
Ranjan Chanda