পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের খণ্ডরুই এলাকায় রয়েছে হেমচন্দ্র কানুনগোর মামার বাড়ি। বেশ কয়েকশো বছর আগে এখানেই শুরু হয় পূজার্চনা। জানা যায়, খণ্ডরুই এলাকার রাজ পরিবারের সদস্য কালীপ্রসন্ন সিংহ, গজেন্দ্র মহাপাত্র এই পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েকশো বছর ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে এলাকায়। তবে প্রায় এক দশক নানা কারণে বন্ধ ছিল পুজো। গত বছর থেকে এলাকাবাসীরা বিশেষ ট্রাস্ট গঠন করে শুরু করেছেন এই পুজো। উৎকল রীতিতে পুজো হয় এখানে। প্রাচীন রীতি মেনেই দেবী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠেন সকলে।
advertisement
আরও পড়ুন : ৪০০ বছরের প্রাচীন দুর্গাপুজো দেখবেন? আসুন পুরুলিয়ার এই রাজপ্রাসাদে, মুগ্ধ হয়ে যাবেন
প্রসঙ্গত, কালের নিয়মে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে রাজবাড়ি। সামান্য কিছু বাড়ির অংশ, টেরাকোটা ও চুন সুড়কির ভাঙাচোরা মন্দির, এবং দুর্গা দালান রয়েছে। রয়েছে প্রাচীন দেবতার মন্দিরও। রাজ পরিবারের কুলদেবতার দেব স্থলে প্রতিপদ থেকেই পুজো শুরু হয়। ষষ্ঠীতে দুর্গা দালানে হয় মূল পুজো। পুজোর আচার অনুষ্ঠানেও রয়েছে চমক। ষষ্ঠী থেকে প্রতিদিনই দেবীকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। থাকে পোনা মাছ। নবমীর দিন চিংড়া মাছ দেওয়া হয় ভোগে। তৎকালীন রাজ পরিবারের পুকুর থেকে মাছ ধরে দেবী দুর্গাকে ভোগ অর্পণ করা হত। চলতি বছরও সেই রীতিকে মেনে চলেছে পুজো উদ্যোক্তারা। বংশপরম্পরায় বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মামা বাড়ির এই পুজোকে বহমান রেখেছেন স্থানীয়রা। পুজোয় একাধিক আচার-উপচারের পাশাপাশি রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
তবে এখানে এলে ভগ্নপ্রায় রাজ স্থাপত্যের ইতিহাস, পুরানো কষ্টি পাথরের নির্মিত কূল দেবতা এবং প্রাচীন এই দুর্গাপুজো উপভোগ করতে পারবেন।