কাছাকাছি সোনাটোপা খাল দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ার ফলে খালে জল ধারণের ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। ঘাটাল সেচ দফতরের উদ্যোগে ও দাসপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় ওই মৌজায় বসান হয় সোলার চালিত পাম্প। আজ কয়েকশ কৃষক তাদের বিঘার পর বিঘা জমি এভাবে সোলার পাম্প চালিয়ে সেচের কাজে জল ব্যবহার করছেন। উপকৃত হওয়া কৃষক অতুন মণ্ডল, জগন্নাথ মণ্ডল, মলয় মণ্ডল, ধরণী মেট্যা, রাধাকৃষ্ণ বর, সুবল পাল বলেন, “এটি হওয়ার ফলে আমরা চাষিরা খুব উপকৃত হয়েছি। কারণ আগে এই এলাকায় একটি ব্যক্তিগত মিনি সাবমারসিবল ছিল যেখানে লোডশেডিং হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা চাষের কাজে জল পাওয়ার জন্য বসে থাকতে হত। এখন এই সোলার পাম্পের সাহায্যে আমাদের বিঘার পর বিঘা জমি খুব অল্প সময়ে পরিমাণ মতো জল পাচ্ছে। এর ফলে আমাদের ফসল উৎপাদন করতে আর কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আমরা ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনিক আধিকারিকদের।”
advertisement
আরও পড়ুন: ঝুলিতে ২ শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড, বীরভূমের অদম্য যুবক! বাড়ির কাছে থেকেও চেনেন না অনেকেই
সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বসান হয়েছে এই পাম্প। যতক্ষণ সূর্য থাকবে ততক্ষণ চাষিরা জল পাবে। সূর্যের তাপ জোরাল হলে জলের স্পিড বাড়বে। সোলার পাম্প যেখানে বসান হয়েছে ওই এলাকার এলাকার সমস্ত কৃষক জল পাবে, এই পাম্পে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমি কাজ হচ্ছে। পরিচর্যার খরচ অনুযায়ী কাঠায় ১৫ টাকা করে চাষিদের দিতে হবে। উপকৃত কৃষক অতুন মণ্ডল, জগন্নাথ মণ্ডল, মলয় মণ্ডল, ধরণী মেট্যা, রাধাকৃষ্ণ বর ও সুবল পাল জানান, এই সোলার পাম্প বসানোর ফলে তাদের চাষের কাঠামোই বদলে গেছে। আগে যেখানে জল পেতে নাজেহাল হতে হত, এখন সূর্যের আলোর উপর ভরসা করেই সারা মৌজার একের পর এক জমি সেচ হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দ্রুত সেচ পাওয়ায় ফসলও ভাল হচ্ছে, বাড়ছে উৎপাদন। চাষিদের একটাই কথা এই উদ্যোগে তারা সত্যিই উপকৃত। প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের আশা, ভবিষ্যতেও এমন আধুনিক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ হবে, যাতে আরও বেশি কৃষক স্বল্প খরচে, পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ চালাতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হল মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিলের দিন শেষ হয়েছে এইসব চাষিদের জন্য।





