সাধারণ চা থেকে কেশর চা, সবই সাধ্যের মধ্যেই। চা প্রেমী বাঙালির কাছে এই দোকানগুলি তাই স্বর্গসম। চা আর বাঙালি, দুটি যেন একে অপরের পরিপূরক। বাঙালির জীবনে চায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। চা বাঙালির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতে চায়ের আগমন ঘটে অষ্টাদশ শতাব্দীতে, ব্রিটিশদের হাত ধরে। আর বাংলায় চায়ের প্রসার ঘটে উনিশ শতকে, কলকাতা কেন্দ্রিক ব্রিটিশ শাসন আমলে। বাঙালির সকাল শুরু হয় চা দিয়ে। চা বাঙালির আড্ডার সঙ্গী। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া বাঙালির একটি প্রিয় অভ্যাস। সামাজিক মিলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এক কাপ চা। চায়ের দোকানে বসে মানুষজন একত্রিত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়। এক কাপ চায়ের টানে ছুটে আসে তাই অনেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার হালদারদিঘি এলাকায় রাজ্য সড়কের পাশে একাধিক চায়ের দোকানে।
advertisement
আরও পড়ুন: সকাল থেকে ব্যস্ততা, কাগজ হাতে লম্বা লাইন! SIR আবহেও মুখে চওড়া হাসি, হচ্ছেটা কী মেদিনীপুরে
এখানে পাওয়া যায় স্পেশ্যাল চা কেশর চা, সাধারণ চা, লিকার চা, মশালা চা। দূরদূরান্ত থেকে এখানে চা পান করতে আসে মানুষজন। মাটির ভাঁড়ে চা সেই স্বাদ এমনকি প্রাইভেট কারে করে গন্তব্যে যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে এই দোকানে বসে চা পান করেন অনেকেই। বাঙালির চায়েও এখন এসেছে প্রকারভেদ। দুধ চা, লিকার চা তো জনপ্রিয়, সেই সঙ্গে আছে মশলা চা একটি বিশেষ ধরনের চা, যা বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এছাড়াও এখানকার দোকানগুলিতে পাওয়া যায় কেশর চা, স্পেশ্যাল চা। পাঁচ টাকা থেকে ২০ টাকা, ৪০ টাকা পর্যন্ত এখানে চা পাওয়া যায়। এই আড্ডাগুলোতে গান থেকে শুরু চর্চা রাজনৈতিক আলোচনা থেকে আন্তর্জাতিক আলোচনা এমন কোনও বিষয় নেই যে চর্চা চলে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন্ধুবান্ধব জুটলে সেখানে বিতর্ক সভাও বসে যায়। তাই চা-এর আড্ডা ও চা দুটোই বাঙালির আবেগ। চা-এর দোকানে তাই ভিড় জমে সকাল বিকাল বিশেষ করে সন্ধ্যায়। রাস্তায় পাশে তখন দূর থেকে দেখলে মেলা মনে হয়। কারণ এখানে চিন্তা মুক্ত হয় আর আলাদা আনন্দ উপভোগ করেন চা পান করতে আসা মানুষরা।






