দাঁত দিয়ে কাঠি থেকে আঁশ ছাড়িয়ে তৈরি করতে হয় এই মাদুর। যার দামও সাধারণ মাদুরের থেকে অনেক বেশি। তবে তথাকথিত মাদুর না, এসব মাদুর বুনে মিলছে বেশি আয়। মেদিনীপুর জেলার সবং গ্রাম বিখ্যাত মাদুর শিল্পের জন্য। শুধু সাধারণ মাদুর নয়, হালকা মসলন্দ মাদুর জেলা দেশ কিংবা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে বহুবার। গ্রামের অধিকাংশই মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তবে বর্তমান সময় উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাদুর শিল্পেও নানা পরিবর্তন এনেছেন শিল্পীরা। ট্রাডিশনাল ম্যাট বানানোর পাশাপাশি মাদুর দিয়ে কাস্টমাইজ হচ্ছে ফাইল কভার, মানিব্যাগ, মহিলাদের ব্যবহৃত ব্যাগ, জুতো-সহ নানা ব্যবহার্য জিনিস। সাধারণ মাদুরের থেকে এই সমস্ত মাদুর থেকে প্রস্তুত নানা জিনিস বাজারেও বেশ ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবহার্য এই সমস্ত জিনিসেরও চাহিদা রয়েছে ভালই।
advertisement
আরও পড়ুন: বীরভূমবাসীদের জন্য় সুখবর! বরাদ্দ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, সংস্কার হবে জাতীয় সড়কের উপর থাকা ১৩ সেতু
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকে সারতা এলাকায় ঘরে ঘরেই মাদুর কাঠি দিয়ে মাদুর বোনা হয়। বেশিরভাগ ঘরেই হয় মসলন্দ মাদুর বোনার কাজ। বিভিন্ন রঙিন কাঠি থেকে আঁশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের পোট্রেট কিংবা অন্যান্য ডিজাইন ফুটিয়ে তোলেন মাদুরে। কীভাবে বোনা হয় এই মাদুর, জানেন? মাদুর কাঠি দিয়ে বোনা হলে, মোটা হয় মাদুর। কিন্তু মসলন্দ মাদুর হয় খুব সূক্ষ্ম। মাদুর কাঠি থেকে দাঁত দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে বুনতে হয়। সুতোও লাগে বেশ সূক্ষ্ম। এবার সেই মসলন্দ মাদুর থেকে তৈরি হচ্ছে একাধিক ব্যবহার্য জিনিস। মাদুরকাঠি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মানি পার্স, ফাইল কভার, ব্যাগ, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি, টিফিন বক্স কভার সহ নানা জিনিস। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি মেলা কলকাতা এমনকি পাইকারি দরেও বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিক্রি হচ্ছে বিদেশেও। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছেন এই সকল হাতে বানান মাদুরকাঠির নানা জিনিস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সবং এর সারতা গ্রামের বাসিন্দা মাদুর শিল্পী অশোক জানা এই মাদুরকাঠি দিয়ে নানা কাস্টমাইজড জিনিস তৈরি করছেন। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে কাজ করছেন গ্রামের বহু মানুষ। মাদুর থেকে তৈরি এই সমস্ত জিনিস বাজারে বিক্রি হচ্ছে সামান্য দামে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যাগ থেকে জুতো সবই প্রস্তুত করছেন মাদুর শিল্পীরা। স্বাভাবিকভাবে ট্র্যাডিশনাল ম্যাটের পরিবর্তে মাদুর থেকে নানা কাস্টমাইজড জিনিস বানিয়ে একদিকে যেমন লাভ জুটছে তেমনই বিভিন্ন সৌখিন জিনিসের সঙ্গে বেঁচে আছে মাদুর শিল্প।





