১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলল যুদ্ধ, অবশেষে এল জয়। সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখনও শিহরণ জাগে তাঁর। দশ বছরের চুক্তিতে সেনাতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৮০ তে অবসর। এখনও সেই দিনের স্মৃতি টাটকা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অর্জুনী গ্রামের সুনীল কুমার গিরির। তিনি যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে। অংশ নেন একাত্তরের যুদ্ধে। ১৯৪৭ সালের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরে এসে বাবার সঙ্গে চাষবাসে সহযোগিতা করতেন।
advertisement
তবে কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। তখন তার ২২ বছর বয়স। জুনিয়র কমিশন অফিসার তথা পেটি অফিসারের পোস্টে যোগদান করেন তিনি। এরপর ১৯৭১এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একাত্তরের যুদ্ধে অংশ নেন অর্জুনের সুনীল কুমার গিরি। আইএনএস কুঠারে ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ড হিসেবে তিনি যুদ্ধে লড়েছেন। চোখের সামনে দেখেছেন মিসাইল পাল্টা মিসাইল ছোড়াছুড়ি। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ ICC Champions Trophy 2025: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় দলে মহাচমক! কে থাকবে আর কে বাদ?
তবে যুদ্ধ জয়ের পর ১৯৭৩ সালে বিশাখাপত্তনামে পোস্টিং হয়। পদোন্নতি পেয়ে চিফ পেটি অফিসার পদে তিনি যোগদান করেন। তবে তার এই যুদ্ধজয়ের কাহিনি স্মরণ করে এবং তার এই বীরত্বকে সম্মান জানিয়েছে তার গ্রামের সকলে। নৌ সেনা সুনীল কুমার গিরিকে সংবর্ধনা দিয়েছে তার গ্রামের গ্রামবাসীরা। দেশের প্রতি অবদানকে সম্মান জানিয়েছে সকলে।
রঞ্জন চন্দ