একটা সময় এই বিশেষ যন্ত্রের চাহিদা ছিল বেশ। সেই সময় তিনি বহু মঞ্চে শিল্পীদের সঙ্গে গানে আবহ দিয়েছেন। এলাকার বহু খ্যাতনামা শিল্পীদের সঙ্গে এক সঙ্গে মঞ্চে তার শিল্প প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে সবকিছুর উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে এই সমস্ত মিউজিক্যাল যন্ত্রপাতি। তবে এখনও তিনি তার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি গানে আবহ সৃষ্টি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরিতে যোগ দিতেই শুরু আসল কাজ! প্রাণীপালনে অন্যমাত্রা এনে শান্তনু পেলেন ‘এক্সিলেন্ট আ্যওয়ার্ড’
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের প্রান্তিক এক গ্রাম পঁচাশবেটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৬৮ এর একাদশ পাত্র। পেশাগতভাবে তিনি বিএলআরও দফতরে চেইন ম্যানের কাজ করতেন। তবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে থেকে যুবক বয়সেই শুরু করেন পার্কাসন বাজানোর কাজ। চাকরি জীবনেও তিনি করেছেন এই শিল্পচর্চা। এখন বয়সের ছাপ চোখে মুখে স্পষ্ট। তবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি যান। শিল্পীদের সঙ্গে তিনি গানে আবহ সৃষ্টি করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, বর্তমান দিনে বিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অক্টোপ্যাডেই পার্কাসনের বিভিন্ন যন্ত্রের আবহ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তিনি এখনও চালিয়ে রেখেছেন এই পার্কাসন বাজানোর কাজ। প্রায় তিরিশের বেশি যন্ত্র রয়েছে তার কাছে। ম্যানুয়ালি এই সব বিভিন্ন যন্ত্র বাজিয়ে সুন্দর আবহ সৃষ্টি করেন তিনি। যা গানে এক আলাদা মাত্রা দেয়। পার্কাসন বাজানো একপ্রকার নেশা তার।
ছোটবেলা কেটেছে খুব অভাবের সঙ্গে। ঘরে তেমন শিল্পচর্চা না থাকলেও তিনি প্রথাগত তালিম ছাড়াই শিখেছেন এই পার্কাসন বাজান। তবে বর্তমান প্রজন্ম এই বিশেষ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে পছন্দ করে না। তবে এই শিল্পীর আক্ষেপ, এই বিশেষ যন্ত্র চর্চাকে যেন বাঁচিয়ে রাখা হয়। একাদশ বাবুর এই আন্তরিকতা এবং শত বাধা পেরিয়ে এই বয়সে এসেও এই শিল্পচর্চাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।