TRENDING:

অক্টোপ্যাড, পিয়ানোর যুগেও খেল দেখাচ্ছেন 'একাদশ'! ৪০ বছর ধরে চলছে পুরাতনকে আগলে রাখার লড়াই

Last Updated:

প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই যন্ত্র বাজিয়ে নানা আবহ তোলেন এই বৃদ্ধ। যন্ত্রের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলছে তাঁর প্রতিভা প্রদর্শন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: দিন বদলেছে। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কি-বোর্ডের সঙ্গে এসেছে অক্টোপ্যাড। আগে যেখানে হাতে নানা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নতুন টিউন তৈরি করত সেই জায়গায় এসেছে নানা নতুন বাদ্যযন্ত্র। যা অতি সহজে সুন্দর সুর তোলে। তবে বয়স যখন তার ২০-২২ তখন থেকেই শুরু করেন তার শিল্পচর্চা। গান বাজনার প্রতি শখ থাকায় তিনি তবলিয়ার কাছে বসে তাল, লয় শিখেছেন। কখনও দেখে দেখে আবার কখনও নিজের মনের মত করে বাজান শিখেছেন এই বাদ্যযন্ত্র। যে কাজ এখন সামান্য অক্টোপ্যাডে তোলা হয়, সেই সুর শব্দ তিনি নিখুঁতভাবে তোলেন এই বাদ্যযন্ত্রে। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পার করেছেন এই বিশেষ মিউজিক্যাল যন্ত্র বাজিয়ে। চিনে নিন তাঁকে।
advertisement

একটা সময় এই বিশেষ যন্ত্রের চাহিদা ছিল বেশ। সেই সময় তিনি বহু মঞ্চে শিল্পীদের সঙ্গে গানে আবহ দিয়েছেন। এলাকার বহু খ্যাতনামা শিল্পীদের সঙ্গে এক সঙ্গে মঞ্চে তার শিল্প প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে সবকিছুর উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে এই সমস্ত মিউজিক্যাল যন্ত্রপাতি। তবে এখনও তিনি তার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি গানে আবহ সৃষ্টি করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: চাকরিতে যোগ দিতেই শুরু আসল কাজ! প্রাণীপালনে অন্যমাত্রা এনে শান্তনু পেলেন ‘এক্সিলেন্ট আ্যওয়ার্ড’

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের প্রান্তিক এক গ্রাম পঁচাশবেটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৬৮ এর একাদশ পাত্র। পেশাগতভাবে তিনি বিএলআরও দফতরে চেইন ম্যানের কাজ করতেন। তবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে থেকে যুবক বয়সেই শুরু করেন পার্কাসন বাজানোর কাজ। চাকরি জীবনেও তিনি করেছেন এই শিল্পচর্চা। এখন বয়সের ছাপ চোখে মুখে স্পষ্ট। তবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি যান। শিল্পীদের সঙ্গে তিনি গানে আবহ সৃষ্টি করেন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

প্রসঙ্গত, বর্তমান দিনে বিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অক্টোপ্যাডেই পার্কাসনের বিভিন্ন যন্ত্রের আবহ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তিনি এখনও চালিয়ে রেখেছেন এই পার্কাসন বাজানোর কাজ। প্রায় তিরিশের বেশি যন্ত্র রয়েছে তার কাছে। ম্যানুয়ালি এই সব বিভিন্ন যন্ত্র বাজিয়ে সুন্দর আবহ সৃষ্টি করেন তিনি। যা গানে এক আলাদা মাত্রা দেয়। পার্কাসন বাজানো একপ্রকার নেশা তার।

advertisement

ছোটবেলা কেটেছে খুব অভাবের সঙ্গে। ঘরে তেমন শিল্পচর্চা না থাকলেও তিনি প্রথাগত তালিম ছাড়াই শিখেছেন এই পার্কাসন বাজান। তবে বর্তমান প্রজন্ম এই বিশেষ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে পছন্দ করে না। তবে এই শিল্পীর আক্ষেপ, এই বিশেষ যন্ত্র চর্চাকে যেন বাঁচিয়ে রাখা হয়। একাদশ বাবুর এই আন্তরিকতা এবং শত বাধা পেরিয়ে এই বয়সে এসেও এই শিল্পচর্চাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অক্টোপ্যাড, পিয়ানোর যুগেও খেল দেখাচ্ছেন 'একাদশ'! ৪০ বছর ধরে চলছে পুরাতনকে আগলে রাখার লড়াই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল