হঠাৎ করে স্টেশনের এক প্রান্ত থেকে ভেসে আসে হালকা বাঁশির সুর। আপন খেয়ালে বাজিয়ে চলেছেন এক বৃদ্ধ। স্টেশনের সিঁড়ির এক কোনায় বসে নানান গানের সুরে তিনি বাঁশি বাজাচ্ছেন। সামনে থাকা একটি বাটিতে কেউ দু-এক টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যস্ততম সিঁড়িতে একাই বসে তিনি। কে আসছেন, কে কতটা টাকা দিচ্ছেন তিনি জানেনই না। তবুও এভাবেই কাটে তার প্রতিদিন। বাঁশি বাজিয়ে যে টাকা রোজগার হয় তাতেই চলে তার সংসার। এভাবেই দিন গুজরান করছেন এই বৃদ্ধ। তার এই প্রতিভাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। স্টেশনে আসা যাত্রীরা অন্তত এক পলক দেখছেন এই বৃদ্ধের প্রতিভাকে।
advertisement
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা ভানু প্রতাপ সিং। জন্ম থেকেই তিনি অন্ধ। এখন বয়স তার ৬৭ বছর। ছোটবেলায় এক অন্ধ গুরু থেকে শিখেছেন বাঁশি বাজানো। সেই বাঁশিকেই নিজের জীবনের অবলম্বন করে তুলেছেন তিনি। দু-চোখ পুরোপুরি অন্ধ। দেখতে পান না কাউকে। কথা এবং স্পর্শে অনুভব করেন তিনি। পরিবারের কেউ তাকে বসিয়ে দিয়ে যান কখনও রাস্তার ধারেই আবার কখনও স্টেশন। এরপর প্রায় সারাদিনই চলে তার বাঁশি বাজিয়ে রোজগার। বয়সের ভার চোখে মুখে স্পষ্ট হলেও কোনও রোগ জ্বালা নেই তার। তবুও দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে তিনি বাঁশি বাজান।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময়…! শুক্রের ঘরে মঙ্গল গোচর, কপাল পুড়বে ৫ রাশির, আর্থিক কষ্ট, জীবন ‘নরক’ করে ছাড়বে…
সহায় সম্বল বলতে একটি মাত্র বাঁশি। চলার অবলম্বন একটি লাঠি। জীবনের এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এভাবে। তবে অনাদরে পড়ে থাকা সামান্য ভিক্ষাজীবী এই বৃদ্ধের বাঁশির সুর এবং প্রতিভা অবাক করছে সকলকে।