যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছেলে যাতে বাড়ি ফিরে আসে তাই নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল গোটা পরিবার। তবে এবার বাড়ি ফেরায় স্বস্তিতে বাবা-মা। তবে আবারও ফিরতে চান নিজের গবেষণার কাজে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন গবেষক পড়ুয়া।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কোন ‘ফল’ নিয়ে উঠলে হতে পারে ‘জেল’ জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘নাম’!
advertisement
গবেষণা করার জন্য জঙ্গলমহলের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইজরায়েল পাড়ি দিয়েছিল এক গবেষক পড়ুয়া। প্রায় বছর দুয়েকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। আর বছর দুই হলেই শেষ হয়ে যাবে পড়াশোনা। তবে দু’বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন, সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী দেশ ইজরায়েল। যে কোনও মুহূর্তে মিসাইল হানা কিংবা বোমা গুলি চলতে থাকে, তবে এই প্রথম যুদ্ধ এতদিন স্থায়ী হয়। স্বাভাবিকভাবে নিরাপদ আশ্রয় বাংকারেই কাটাতে হয়েছে কয়েকটা দিন।
তবে এমন যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাড়ি ফিরেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল শালবনির ভাউদি এলাকার বাসিন্দা গবেষক পড়ুয়া অনিরুদ্ধ বেরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে বাড়ি ফিরে দেখা করেন তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে। শোনালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। প্রসঙ্গত, ভাউদি হাই স্কুল থেকেই মাধ্যমিকের ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন অনিরুদ্ধ। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত সরকারের তৎপরতায় তিনি দেশে ফিরেছেন।
বাড়ির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ। পড়াশোনার কারণে প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় বাইরে। একমাত্র ছেলে বাড়ি ফেরায় খুশি বাবা-মাও। পরিবারে এখন খুশির আবহ। তবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে আবারও ফিরতে চান নিজের গবেষণার কাজে। বাবা অসীম কুমার বেরা বলেন, “ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে আমরা খুশি। ভারত সরকার এবং ইজরাইলে থাকা ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাই।” মা রাখি বেরা বলেন, “খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।” স্বাভাবিকভাবে এই গবেষক পড়ুয়ার মুখে লোমহর্ষক কাহিনী বেশ কাঁটা দিয়ে ওঠে গোটা শরীরে।
রঞ্জন চন্দ