সাধারণত পুলিশ আর থানার নাম শুনলেই যেখানে ভয় কাজ করে, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের এই সাহসী ও কৌতূহলী উপস্থিতি যেন এক অন্য ছবি তুলে ধরল দাসপুর থানায়। ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ দেখে এগিয়ে আসেন দাসপুর থানার পুলিশ আধিকারিক অঞ্জলি কুমার তিওয়ারি। তিনি খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে শুরু করেন থানায় কীভাবে অভিযোগ জানাতে হয়, কোন অভিযোগ কোন আইনের আওতায় পড়ে এবং সাধারণ মানুষের জন্য থানার দরজা সবসময় কীভাবে খোলা থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লালন মেলা দেখে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! রাস্তাতেই শেষ হয়ে গেল দুই বন্ধু, পরিবারে হাহাকার
সেই সঙ্গেই সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং নিয়েও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করেন অঞ্জলি কুমার তিওয়ারি। কোনটা অপরাধ, কেন তা অপরাধ এবং এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হলে কীভাবে আইনি সাহায্য নিতে হয়, সেই বিষয়েও বিস্তারিতভাবে জানান।
ছাত্রছাত্রীরা মন দিয়ে শুনতে থাকেন পুলিশের কথা। তাঁরা প্রশ্ন করতে থাকেন, আবার উত্তরও পায় সহজভাবে। শুধু কথায় নয়, হাতে-কলমে শেখানোর উদ্যোগও নেয় দাসপুর থানা। ছাত্রছাত্রীদের থানার ভিতর ঘুরিয়ে দেখানো হয় কোথায় ডিউটি অফিসার বসেন, কোথায় অভিযোগ নথিভুক্ত হয়, কোন ঘরে কী কাজ হয়। থানার পরিবেশকে কাছ থেকে দেখে ছাত্রছাত্রীদের ভয় অনেকটাই কেটে যায়, পুলিশের প্রতি তৈরি হয় আস্থা ও বিশ্বাস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশি ছাত্রছাত্রীরাও। পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই ধরনের সচেতনতামূলক উদ্যোগ ভবিষ্যতে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন অনেকে।





