জঙ্গলমহলের মানুষ মুড়ি খায় না, এটা বিশ্বাস করা খুব মুশকিল। অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মানুষদের কাছে এক সময় ক্ষুধা নিবারনের অন্যতম উপায় ছিল মুড়ি। পেট ভর্তি ভাত খাওয়া তাদের কাছে স্বপ্ন ছিল, তাই সকাল হোক কিংবা বিকাল অথবা রাত্রিতেও মুড়ির উপর ভরসা রাখতেন জঙ্গলমহল তথা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া কিংবা ঝাড়গ্রামের মানুষ। এখনও অধিকাংশ বাড়িতে মুড়ি ভাজা হয়। তবে শুধু মুড়ি যে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় তা নয়স এখনও গ্রামবাংলায় ওষুধের ভূমিকা পালন করে সামান্য এই মুড়ি। পেটের অসুখ হোক কিংবা জ্বর মুড়ির ওপর ভরসা রাখেন সাধারণ মানুষ।
advertisement
গ্রামবাংলায় প্রচলিতভাবে পেটের খারাপ হলে জল ঢেলে মুড়ি খাওয়া কিংবা অন্যান্য সময় মুখরোচক হিসেবে কখনও চপ বা অন্যান্য তেলে ভাজা অথবা পেয়াজ, শসা মিশিয়ে মুড়ি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুড়িতে রয়েছে কম ক্যালরি, এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মুড়ি খেলে বিপাক হার ভাল হয়।
তবে সে যাই হোক না কেন, জঙ্গলমহলের মুড়ি যেন প্রধান খাবার। মুড়িকে কেন্দ্র করে বসে মেলা যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন শুধুমাত্র এই মুড়ি খাওয়ার উৎসব এ যোগ দিতে। তবে যেন প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের এক অন্যতম অঙ্গ এই মুড়ি।
রঞ্জন চন্দ