মঙ্গলবার দুপুরে ভাড়াবাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় কেশিয়াড়ি ব্লক অফিসের বড়বাবুর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জঙ্গলমহলের কেশিয়াড়িতে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মাথা, গলা-সহ একাধিক জায়গায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতের নাম অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়(৩৮)। বাড়ি মেদিনীপুরের জুগনুতলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দুয়েক আগে কেশিয়াড়ি ব্লক অফিসে হেড ক্লার্ক হিসেবে যোগদান করেন অভিষেক। বাবা ছিলেন মোহনপুর বিডিও অফিসের ক্লার্ক। বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে বাড়ি থেকে যাতায়াত করলেও দু’মাস আগে ব্লক অফিসের অদূরে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখান থেকেই অফিসে যাতায়াত করতেন। মঙ্গলবার অফিস না আসায় দুপুরের পরে খোঁজ পড়ে তাঁর। ভাড়াবাড়িতে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ খোলে না। পরে দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় অভিষেকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ।
advertisement
খবর যায় কেশিয়াড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে হাজির হন বেলদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। উদ্ধার হয় বিডিও অফিসের বড়বাবুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বচসার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান হয় অভিষেককে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আবাসনে থাকা চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর পর তল্লাশি চালিয়ে খড়্গপুর লোকাল থানার বেনাপুর এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরিবারের এক সদস্য জানান, বাবার মৃত্যুর পর চাকরি পেয়েছিল অভিষেক।
প্রথমে গড়বেতাতে বিডিও অফিসে চাকরি করতেন অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেশিয়াড়িতে ট্রান্সফার হয়ে আসেন। প্রথমে বাড়ি থেকে যাতায়াত করলেও মাস দুয়েক আগে কেশিয়াড়িতে থাকতে শুরু করেন। বছর কয়েক আগে ক্যানসারে ভুগে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। বাড়িতে স্ত্রী, ১১ বছরের পুত্র ও বিশেষভাবে সম্পন্ন এক বোন রয়েছে।
রঞ্জন চন্দ