পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর থেকে অনতিদূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রামের মানুষজনের আয়-রোজগারের উৎস চালা বা কুলো অথবা বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করা। সারা বছর সামান্য বিক্রি হলেও মূলত কালীপুজো এবং মকর সংক্রান্তির সময়ে ভাল বিক্রি হয়।
advertisement
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনের পর দিন এসব জিনিসের চাহিদা কমছে। অন্যদিকে বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের রমরমার কারণে রোজগার কমছে এই সকল মানুষদের। তবুও মেদিনীপুর শহরের কাছেই অবস্থিত বেলিয়া এবং বেলিয়া ভূঁইয়া হাতা দুই গ্রামের মানুষদের আয় রোজগারের উৎস কুলো কিংবা ঝুড়ি তৈরি করা। সারাদিন বাড়ির পুরুষদের সঙ্গে মহিলারাও এই কাজে হাত লাগান। সেখান থেকে যা রোজগার হয়, তাতেই চলে তাঁদের সংসারের খরচ।
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এই মানুষদের ভাল বিক্রি হয়। কালীপুজোর পর থেকে ধান কাটার কারণে বিক্রি হয় চালা কিংবা কুলোর। অন্যদিকে মকর সংক্রান্তিতেও ঝুড়ি কিংবা কুলো ভাল বিক্রি হয়। এতেই যেন তাঁদের সারা বছরের রোজগার হয়। বাঁশ কিনে এনে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কুলো বা ঝুড়ি বানান এলাকার মানুষ। মূলত ধান কাটার মরশুমে, ধান ঝাড়া সহ একাধিক কাজে ব্যবহৃত হয় এই কুলো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একইভাবে পান সহ অন্যান্য জিনিস বহন করার কাজে ব্যবহার করা হয় চালা অথবা ঝুড়ি। এক্ষেত্রে রোজগার বেশ কম। তবে আসন্ন মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে এই গ্রামে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সারাবছর তথৈবচ অবস্থায় থাকলেও এই সময় বেশ ভাল রোজগার হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের।





