প্রবাদপ্রতিম প্রাণপুরুষ তথা মেদিনীপুরের বীর সন্তান পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগরের নাম ঈশ্বরচন্দ্র এবং তার পদবী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিদ্যাসাগর নিজের নামের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, সই করতেন এই উপপদ ব্যবহার করে। তবে কী এই উপপদ? বিদ্যাসাগর বিভিন্ন চিঠি লেখা হোক বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের নাম স্বাক্ষর করতেন ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা অথবা ঈশ্বরচন্দ্র শর্মনঃ নামে। কেন এই নাম ও পদ ব্যবহার করতেন বিদ্যাসাগর? জানেন? ১৮২০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ গ্রামে ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবতী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন বিদ্যাসাগর। অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য তাকে সংস্কৃত কলেজে তরফে বিদ্যাসাগর উপাধি দেওয়া হয়। তবে তিনি প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজের সই করতেন শর্মা উপপদ ব্যবহার করে।
advertisement
বিদ্যাসাগর গবেষকদের মতে, বহু প্রাচীন সময় থেকেই পাণ্ডিত্যের প্রকাশ পায় তার এই শর্মা উপাধি বা উপপদ ব্যবহার করে। উচ্চবর্ণীয় পণ্ডিত ব্যক্তিরাই শুধুমাত্র এই শর্মা বা সংস্কৃত শব্দ শর্মনঃ ব্যবহার করতেন। নিজের পান্ডিত্যের উপমা হিসেবেই বিদ্যাসাগর তার স্বাক্ষরী নিজের পদবীর পরিবর্তে শর্মা অথবা বেশ কিছু জায়গায় শর্মনঃ ব্যবহার করেছেন।
বর্ণপরিচয় কিংবা বিদ্যাসাগরের লেখা নানান ঘটনাবলী সবাই পড়েছেন। তবে তার স্বাক্ষর অবাক করেছে সকলকে। সারা রাজ্য জুড়ে শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস।