এই বয়সেও তার সহযোগী সহধর্মিনী। আর এতেই যেন প্রতিদিন এক একটা ছবি হয়ে ওঠে জীবনমুখী। জল রং, তেল রং কিংবা মিক্সড মিডিয়া যেকোনও ক্ষেত্রেই দক্ষ তিনি। পেশাগতভাবে রেলের একজন কর্মী ছিলেন তিনি। কর্মজীবনেও এঁকেছেন নানা ছবি, শিখিয়েছেন একাধিক জনকে। তবে নিজেরই নেই কোনও প্রথাগত তালিম। তার হাতে আঁকা বিভিন্ন ক্যানভাস, কাগজের ফুটিয়ে তোলা বিভিন্ন ছবি, পোট্রেট যেন জীবনের বাস্তবকে সাজিয়ে তুলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের রেল শহর খড়গপুরের ছোট ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী শিবাজী রাও। ছোটবেলা থেকেই খড়গপুরে জন্ম। বাবাও করতেন রেলের কাজ। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই খড়গপুরে মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন : ধান কাটার মরশুমে বাঁকুড়ায় ঘুরছে দলছুট দাঁতাল, বিভিন্ন রেঞ্জে রয়েছে আরও শ’খানেক! কৃষকদের ঘুম নেই
খুব একটা সচ্ছল পরিবার না হওয়ার কারণে হয়নি আঁকা শেখা। তবে বিভিন্ন শিল্পীদের ছবি আঁকা দেখে এমনকি মৃৎশিল্পীদের হাতে বানান মূর্তি দেখেই তিনি শিখেছেন ছবি আঁকার কৌশল। এরপর প্রতিদিন নিজের ইচ্ছেতেই ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন রং তুলিতে। একদিকে তিনি দক্ষ শিল্পী। রং তুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে নানা ছবি। অবসর জীবনকে কাজে লাগিয়ে এঁকেছেন প্রায় শতাধিক পোর্ট্রেট থেকে নানান ছবি। তার আঁকার সময় সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী পুষ্পা। তবে এখানেই তার দক্ষতার পরিচয় এর শেষ নেই। তিনি পারেন কি-বোর্ড বাজাতে, বাঁশির সুরে মোহিত করে রাখতে পারেন সকলকে। শুধু তাই নয় এখনও বেশ কয়েক ঘন্টা লাঠিও খেলতে পারেন। তেমন কোনও প্রথাগত তালিম পাননি তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কর্ম জীবন থেকে অবসর নিয়ে প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরেই নিজের শরীর চর্চা, লাঠি খেলা, তলোয়ার ঘোরান থেকে মেয়ে এবং ছেলেদের আত্মরক্ষার বিভিন্ন কৌশল তিনি শেখান। অবসর সময় তিনি বসে পড়েন কি-বোর্ড কিংবা বাঁশের বাঁশি নিয়ে। সুর তোলেন বাংলা কিংবা হিন্দি গানের। নিজে একজন মহারাষ্ট্রের বংশোদ্ভূত হলেও বাংলা বেশ ভাল রপ্ত করেছেন তিনি। তার শিল্প প্রতিভা এবং ভাবনা চমকে দেবে আপনাকেও। তার বিভিন্ন ছবি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। তবে এই বয়সে এসেও তার ফিট চেহারা, তার শিল্প প্রতিভা এবং তার ভাবনা চিন্তা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।





