তবে আজ শুধুই নীরবতা। স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্রবসু ও মহাত্মা গান্ধি থেকে শুরু করে বিশ্বকবি-অগণিত গুণীজনের পদধূলিধন্য এই রাজবাড়ি। এই রাজবাড়িতে রয়েছে ২৫০ টির মতো কক্ষ। এখনও এই রাজবাড়ির নিখুঁত কারুকার্য আপনাকে অবাক করবে। শোনা যায় এই সুন্দর কারুকার্যের পিছনে রয়েছে জয়পুর ও লাহোর থেকে আগত কারিগররা। রাজবাড়ির মধ্যে রয়েছে নাটমন্দির ও দুর্গামন্দির। এই দুর্গামন্দিরের উচ্চতা প্রায় ২৭ ফুট। এছাড়াও এই রাজবাড়ির প্রধান দ্বারের বাম দিকে রয়েছে গোবিন্দ জিউ মন্দির, সীতারাম জীউ মন্দির ও একটি ঠাকুরদালান। গোবিন্দ জীউ মন্দিরের উচ্চতা ৫০ ফুট।
advertisement
রাজা মোহন লালা খান ১৮১৯ সালে সীতারাম জীউ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। অযোধ্যা থেকে বেলেপাথর নিয়ে এসে তৈরি করা হয়েছিল এই মন্দির। এই রাজবাড়ির কাছেই রয়েছে হাওয়া মহল। এছাড়াও লঙ্কাগড় জলহরিৎও রয়েছে। ১৮১৮ সালে মোহনলাল খান একটি বিশাল বড় পুকুরের মাঝখানে তৈরি করেছিল সাদা রঙের এক মহল। ৬০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই লঙ্কাগড় জলহরিৎ।
আরও পড়ুন : নীল আকাশে মেঘের ভেলা, পানসি এগোয় মনকেমনের ঠিকানায়…ছোট্ট ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা
কীভাবে আসবেন? কলকাতা থেকে প্রথমে হাওড়া। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান পাঁশকুড়া স্টেশন। সেখান থেকে বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন নাড়াজোল রাজবাড়ি। সারাদিন ঘুরুন। ইতিহাস স্বচক্ষে উপভোগ করুন। পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানান ইতিহাস নানা ঐতিহাসিক স্থান। চোখ মেললেই এদিক ওদিক দেখতে পাওয়া পুরনো দিনের কিছু ধ্বংসাবশেষ।