পরিযায়ী শ্রমিক চন্দ্রকোনার হানিফ আলী, পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। ভিন রাজ্যে কাজে গেলে যদি আবার বাংলাদেশী হিসাবে আটকে রাখে পুলিশ, ভয়ে আর ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন না হানিফ। আর এই রাজ্যেও নেই সেই ধরনের কর্মসংস্থান, প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। চরম দুশ্চিন্তায় পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বেড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হানিফ আলী। কাঠের মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন ওড়িশায়। ওড়িশার বারান্দা থানা এলাকায় তাকে বাংলাদেশী সন্দেহে আটকে রাখা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজগারের আশায় মাঠে কাজ করছিলেন কৃষক, আচমকা বজ্রপাত…! তারপর যা ঘটল, শোকে পাথর পরিবার
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনের সহযোগিতায় বেশ কয়েকদিন পর ছাড়া পান। বর্তমানে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলছে হানিফের। সেই দুর্দশার ছবি উঠে এল, আমাদের ক্যামেরায়। এদিক- ওদিক, ওলি- গলিতে এমন হানিফ অনেক রয়েছেন। চলমান পরিস্থিতির মারপ্যাঁচ তারা জানে না তাদের চোখে শুধু স্বপ্ন শুধুই দুটো টাকা রোজগার করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটান। কিন্তু সেই হানিফদের বুকে এখন শুধুই ভয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কী হবে তবে এদের ভবিষ্যৎ উত্তর অধরা, তবে এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আছে, যেখানে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা অসুবিধায় পড়েছেন সরকার সব রকম সহযোগিতা করেছে, এমনকি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে।
মিজানুর রহমান