ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাটা প্রায় তিন শতাধিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত দাঁতন থানার বলভদ্রপুরের বাসিন্দা পেশায় যোগা প্রশিক্ষক অমৃত দাস। যোগ শিক্ষায় বাবার কাছেই হাতেখড়ি। এভাবে কিশোর বয়স থেকে শুরু যোগব্যায়ামের চর্চা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে বদলেছেন। ১৭-১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করেন যোগ শিক্ষা দেওয়া। সামান্য কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে শুরু হওয়ার অমৃত দাসের এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। শুধু শরীর মন সুস্থ রাখা নয় শিক্ষককে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বহু ছেলেমেয়ে থেকে অভিভাবকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে গলা সমান জল, ঘাটালে লাটে পড়াশুনা! ফের কবে খুলবে বিদ্যালয়? উত্তর খুঁজছে পড়ুয়ারা
পঞ্চাশ উত্তীর্ণ অমৃত এখনও ফিট। শুধু একজন যোগা প্রশিক্ষক নয়, অমৃতবাবু একজন নাট্য অভিনেতা। দাঁতন বলভদ্রপুর উদ্যোগ নাট্য সংস্থার একজন অভিনেতা এবং পরিচালক। সারাদিন যোগ চর্চা এবং নাট্যচর্চার মধ্যে দিন কাটে তার। তবে কেন প্রত্যন্ত গ্রামে এলাকায় শুরু হল তার যোগের প্রশিক্ষণ। জানা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় যোগব্যায়াম শিক্ষার তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না। তাই নিজেই শেখার পাশাপাশি শুরু করলেন শেখানোর কাজ। তবে এখন বয়স হচ্ছে, তবে নিজেকে বয়স্ক ভাবতে নারাজ তিনি। বয়স তার মত এগোলেও তিনি রয়েছেন যুবকদের মত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিদিন দাঁতন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তিনি এই প্রশিক্ষণ দেন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কখনও বকাঝকা আবার কখনও আদর করে শিখিয়ে দেন। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে যোগা প্রতিযোগিতায় সফলতা পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ৫০ অতিক্রান্ত অমৃত দাস এখনও যুবক, শিখিয়ে চলেছেন যোগ ব্যায়াম। সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় করে তুলছে ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েদের।
রঞ্জন চন্দ