প্রত্যেকের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাঁদের অবিলম্বে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের শরীরের বেশ কিছু অংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কেউ কেউ নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দ্রুত খবর যায় দাসপুর থানার পুলিশ এবং ঘাটাল দমকল বিভাগের কাছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা বহু চেষ্টার পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষার ডুয়ার্স অপরূপ, এরই মাঝে দামাল নদীতে বিরাট আয়োজন! ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা
তবে দোকানের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুক্ষণ ‘পকেট ফায়ার’ বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আগুন থেকে যায়। দমকল সূত্রে জানা গেছে, দোকানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ এবং গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, গ্যাস লিক বা শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। পুলিশ ও দমকল বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। দোকানের মালিক ও আশপাশের মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দগ্ধ চার শ্রমিক বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকতে অনুরোধ জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রয়োজনে তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। যে চারজন ভর্তি আছে তারা হলেন, সৌরভ বারাদে, অজয় আউতরা, দীপক বাউর এরা সবাই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। অবিরাম চংদার জানা যায় তার বাড়ি হুগলি জেলায়।