পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের আজবনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পান্না চাতাল এলাকায় হাঁটু সমান বন্যার জল পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে যাতায়াত, যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। ঘাটালের পান্না সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘাটাল শহর যাওয়ার এই গ্রামীণ পিচ রাস্তায় একমাত্র ভরসা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের পান্না চাতাল এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে।
advertisement
হাঁটু সমান বন্যার জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই গ্রামীণ পিচ রাস্তাটি ঘাটালের পান্না সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘাটাল শহরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা। বন্যার জলে রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমনকি নৌকো ও ডিঙ্গি করেও যাতায়াত করতে হচ্ছে অনেকের। বন্যার জলে প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই দ্রুত এই এলাকায় বন্যার জল কমানোর ব্যবস্থা করা দরকার। বৃষ্টি ও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে গ্রামীণ এলাকার চাষের জমি ও রাস্তাঘাট শিলাবতী নদীর জলের তলায় চলে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা চন্দ্রকোনা সহ আরও বেশ কিছু এলাকায়। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় জল বাড়ায় পুরসভা এলাকাগুলিও জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে। শিলাবতীর জল ও ঝুমি নদীর জল উপচে এলাকায় ঢুকে পড়েছে জল। চন্দ্রকোণাতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ডিভিসির ছাড়া জল মিশছে রূপনারায়ণে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে বেশিরভাগ এলাকাতেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলের কারণে মাঠের সবজি নষ্ট হচ্ছে।
রাস্তায় এতই জল যে সাইকেল নিয়েও যাতায়াত করতে পারছেন না মানুষ। বন্যা মানেই ক্ষতির পর ক্ষতি। আর সেই জায়গাই ঘাটালের অবস্থা আর বলার ভাষা নেই। এখন এই পরিস্থিতিতে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আবহাওয়ার উন্নতি। কিন্তু আকাশে মুখ ভার। মেঘ সরে রোদ ওঠার নাম গন্ধ নেই।