তবে সব জায়গায় পাকা সেতু না থাকায়, সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। কিন্তু বর্ষাকালে নদীতে জল বেড়ে গেলে এই বাঁশের সাঁকোগুলি ভেঙে যায়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেক এলাকা। তখন পারাপারের একমাত্র উপায় হয়ে ওঠে নৌকা। এই নৌকায় করেই স্কুল-কলেজ, বাজার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে হয় সাধারণ মানুষদের। তবে প্রতিটি এলাকায় নৌকা পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য দিতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: গৃহশিক্ষিকার অবসর সময়ে চলে এই কাজ…! বাড়িতে বসেই হাতে আসে মোটা টাকা, ট্রাই করে দেখতে পারেন আপনিও
কোথাও কম, কোথাও আবার বেশি। তবে বছরের সবসময় এই নৌকা চলে না—শুধুমাত্র বর্ষার সময় যখন অতিরিক্ত জল হয় এবং বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ে, তখনই এই নৌকাগুলি চলাচল করে। এই দিনগুলোর অপেক্ষাতেই থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের নৌকা মালিকেরা। কারণ, সাঁকো ভেঙে গেলে তখনই তাদের নৌকার প্রয়োজন পড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জল বাড়লে তাই নৌকা মালিকদের মুখে হাসি ফোটে। এই নৌকা চালিয়েই অনেকের সংসার চলে। ঘাটাল ও দাসপুরের একাধিক এলাকায় বছরে এক থেকে দুই মাস চলে এই নৌকার বাণিজ্য। এই এক থেকে দু’মাস নৌকো বাণিজ্য করার জন্য সারা বছরও নৌকাগুলিকে সযত্নে তুলে রাখতে হয়, নৌকোগুলির যথা সময়ে পরিচর্যাও করতে হয়, তবে এই এক থেকে দুই মাসে নৌকা চালিয়ে যা আয় হয় তাতেই খুশি ওরা।
মিজানুর রহমান