রোজনামচা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঘাটালবাসী। সময় মতো সব হাতের কাছে পাননি তারা। ক্ষতির পর ক্ষতির মুখে জলযন্ত্রায় তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন , প্রতিনিয়ত আশা কর্মীরা পৌঁছে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেছেন। আশা কর্মীদের জীবন অত্যন্ত কঠিন এবং সংগ্রামময়। তারা গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তি, কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক খুবই কম।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘাটালে ফের জমা জলে বেনজির দুর্ভোগ! এরই মাঝে হাজির পুলিশ, দেবদূতের মতো দাঁড়াচ্ছে অসহায়দের পাশে
আশা কর্মীরা প্রতিদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিভিন্ন গ্রামের থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা, পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশু স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন। এছাড়াও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, অসুস্থ রোগীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে গেছেন দিনরাত এক করে। কাজের গুরুত্ব অপরিসীম, কিন্তু তাদের পারিশ্রমিক খুবই কম। তারা প্রতি মাসে খুবই সামান্য টাকা পান, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও তাদের কাজের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই, বন্যা পরিস্থিতিতে যখনই ডাক পড়েছে ছুটে গেছেন তারা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আশা কর্মীরা তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠার নজির গড়েছেন। কখনও দেখা গেছে একটা বাঁশের সাঁকো পেরিয়েও তারা ছুটে গেছেন মানুষের ডাকে। এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন সেই ছবিও ফুটে উঠেছে আমাদের ক্যামেরায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাধা পেরিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আশার আলো ফুটিয়ে গেছেন আশা কর্মীরা। কখনও জল পেরিয়ে কখনও আবার জলে নেমে কখনও আবার নৌকই করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আশা কর্মীরা। ঘাটালের বন্যায় আশা কর্মীদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম নজর কেড়েছে প্রত্যেকের মনে।