পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন গৃহবধূ হাসিনা খাতুন। অন্য দিকে, তাঁর হৃদরোগের সমস্যাও ছিল। তারপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বাড়িতে বিষ খেয়ে নেন। তড়িঘড়ি তাঁকে পূর্বস্থলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদজনিত সমস্যা অনেক গর্ভবতী মহিলার থাকে। সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে বিশেষ কেয়ার নিয়ে তাঁদের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করা হয়। এই মহিলার ক্ষেত্রে যে কোনও কারণেই হোক গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলির বিশ্বকাপ খেলার উপর চরম শর্ত চাপিয়ে দিল বিসিসিআই! না মানলেই শেষ কেরিয়ার
মনোবিদরা বলছেন, এমনিতেই হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ওই গৃহবধূ চিন্তিত ছিলেন। তার ওপর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়। এই দুই মানসিক ধাক্কা তিনি সহ্য করতে পারেননি। সেই হতাশা থেকেই সম্ভবত তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে উনি হয়তো ধৈর্য ধরলে পরবর্তী সময়ে মাতৃত্বের স্বাদ পেতে পারতেন। আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল ওই গৃহবধূকে। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, কথা কম বলছিলেন। এরপর দুপুরে অন্যদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তিনি বিষ পান করেন। বধূর মৃত্যুর জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।