সুশীল গুছাইত জানান, “যেই জায়গায় সরকারি শৌচালয় হয়েছে সেটা আমাদের জায়গা, যেই সময় ওর কাজ হয় বা জঙ্গল পরিস্কার হয়, তখন আমরা জানতে পারি যে ওটা আমাদের জায়গা। জানার পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। তাই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবেন আমরা তাই মানব। আমরা কোনও মতে ওই জায়গা ছাড়ব না।” তিনি আরও জানান, যেই দাগ নম্বরে শৌচালয় করার কথা, প্রকৃত ভাবে সেই জায়গায় ওটা হয়নি৷
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানে ISRO -র চেয়ারম্যান! করে গেলেন এইসব ঘোষণা, জানলে ভারতীয় হিসাবে গর্বে বুক ভরে যাবে
আর এই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা হওয়াই রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই বস্তির শতাধিক পরিবার ও এলাকার মহিলারা। তারা জানান, “আমাদের এলাকায় শৌচালয়ের অবস্থা বেহাল ছিল। যাই হোক বার বার আবেদন করার পর সরকার করে দিল। সেই সময় কেউ বাধা দিল না। এখন শুনছি একজন তাদের জায়গা দাবী করে হাইকোর্ট করেছে। আমরা তাহলে কোথায় যাব। বস্তিতে আর কোনও সরকারি শৌচালয় নেই।আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি দেখুক।”
আরও পড়ুন: মাত্র ৫০০ টাকার জন্য এত কাণ্ড! বাঁশ, লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর, ক্যানিংয়ে আহত ১ মহিলা সহ ৩
এ বিষয়ে ডেবরা ব্লকের বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ী জানান, “আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে কাজ চলাকালীন বা শৌচালয় চালু হওয়া পর্যন্ত কেউ অভিযোগ জানায় নি। ইদানিং শুনছি কেউ একজন তাদের জায়গা দাবী করে হাইকোর্ট করেছেন। আমরা প্রয়োজনে ওনার সঙ্গে কথা বলে দেখব। যাতে এই সমস্যার সমাধানের রাস্তা বের করা যায়।”