জানা গিয়েছে, এদিন মিঠুর মা অসীমা সর্দার মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। হঠাৎই অসীমা দেবীর ফোনে আসে এক অজানা নম্বর থেকে কল। ফোনটি ধরেন মিঠুই। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানান হয়— সরকারিভাবে যাদের বাড়িতে গ্যাস কানেকশন আছে, তাদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা পাঠান হচ্ছে। এর জন্য ফোন-পে যুক্ত একটি মোবাইল নম্বর প্রয়োজন বলে জানান হয়। মিঠু নিজের নম্বরটি দিয়ে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মন্থার জের! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে, জলপাইগুড়িতে বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন
এরপর শুরু হয় প্রতারণার ফাঁদ। প্রথমে সাধারণ ফোন কল, পরে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দুষ্কৃতীরা। তারা মিঠুকে ফোনে একের পর এক নির্দেশ দিতে থাকে— কোথায় ক্লিক করতে হবে, কীভাবে তথ্য দিতে হবে ইত্যাদি। কিছু না বুঝেই মিঠু তাঁদের কথামত সব ধাপ সম্পন্ন করেন। তারপরই ঘটে বিপত্তি। ভর্তুকির টাকা ঢোকার বদলে মিঠুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুহূর্তের মধ্যেই খালি হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। বিষয়টি বুঝে হতভম্ব হয়ে পড়েন মিঠু ও তার পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও এলাকায় এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি ভর্তুকি, লোন বা প্রকল্পের নাম করে ফোনে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় সাইবার প্রতারণার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে জানিয়েছে— কোনও সরকারি প্রকল্প বা ভর্তুকির নামে অচেনা ফোন নম্বরে নিজের তথ্য বা মোবাইল লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বিপজ্জনক।







