TRENDING:

West Medinipur: মেদিনীপুরের শিক্ষকের বহুমুখী প্রতিভা! যাত্রার দুনিয়ায় ব্যাপক সুনাম, এখন লেখেন গল্প-কবিতা! গুণী হেডমাস্টারকে চিনে নিন

Last Updated:

West Medinipur: একসময় যাত্রাপালা লিখেছেন, যাত্রাদলে অভিনয় করেছেন। চাকরি পাওয়ার পর বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই শিক্ষককে যাত্রাদল ও সংলাপ লেখা ছাড়তে হয়। বর্তমানে একাধিক প্রবন্ধ, ছোটগল্প এবং কবিতা লিখছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দঃ এখনও গলায় সেই জোর। যেকোনও চরিত্রে অভিনয় করে অগণিত দর্শককে মুগ্ধ করে দিতে পারেন। তবে এখন আর চরিত্রে অভিনয় হয় না। ব্যস্ততার কারণে লেখা হয় না যাত্রার সংলাপ। তবুও এখনও লেখেন, প্রবন্ধ, গল্প কিংবা কবিতা। একটা সময় যাত্রা সংলাপ লিখে এবং যাত্রা দলে অভিনয় রোজগার করতেন তিনি। আজ থেকে প্রায় কয়েক দশক আগে এক প্রধান শিক্ষকের এক প্রধান কাজ ছিল এটি। তৎকালীন সময়ে যাত্রা ছিল আনন্দ-বিনোদনের একমাত্র পথ। তবে শুধুমাত্র কলকাতার যাত্রাদলের কদর ছিল বিভিন্ন জায়গায়। পরবর্তীতে স্থানীয় দল বা শিল্পীরা দল গঠন করে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা পরিবেশন করতেন। যাদের এক অন্যতম সংলাপ রচয়িতা এবং অভিনেতা ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। তখন অবশ্য সবে স্নাতক পাশ করেছেন।
advertisement

স্নাতক পাশ করার পর তিনি অভিনয় বেশ পছন্দ করতেন। নাটকের পাশাপাশি যাত্রাদলেও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে লেখাঝোঁকার শখ ছোটবেলা থেকেই। সেইমতো স্নাতক পাস করার পর থেকেই তিনি যাত্রাপালা লেখা শুরু করেন। সেই লেখা নিয়ে বিভিন্ন যাত্রা দলে ছোটা। বেশ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি প্রায় ১৭টি যাত্রাপালা লিখেছেন। মূলত সামাজিক এই যাত্রাপালা পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এমনকি ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় পরিবেশন হয়েছে। সেই সময় কোনও প্রিন্টার বা জেরক্স মেশিন না থাকায় হাতে লিখতেন এই সমস্ত সংলাপ। এখনও বেশ কিছু সংলাপ তিনি গুছিয়ে রেখেছেন। সেই পান্ডুলিপি আর কয়েক বছর পর হয়তো এক ইতিহাস পরিণত হবে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ রিকশা চালিয়ে নারী নিরাপত্তার পাঠ! ১২ রাজ্য ঘুরে এবার দিঘায় হাজির সানি, ভারতভ্রমণে বেরনো এই ব্যক্তি কে জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার গণপাদা এলাকার বাসিন্দা সুকুমার শাসমল মনোহরপুর রাজা রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক। ১৯৮৭ সাল থেকে যাত্রার সংলাপ লেখা শুরু। নেপথ্যে অবশ্য একটি ঘটনা রয়েছে। যাত্রাদলে এমন কিছু চরিত্র থাকত যারা বেশ উপেক্ষিত থেকে যায়। একবার একটি ছোট্ট দৃশ্যে অভিনয়ের পর বেশিরভাগ সময় তাঁদের আর স্টেজে দেখা যেত না। সেই উপেক্ষিত চরিত্র বাদ দিয়ে প্রধান চরিত্রে যাতে সবাই অভিনয় করতে পারেন সেই ভাবনা নিয়েই যাত্রার সংলাপ লেখা। এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক ঘটনার উপর তিনি যাত্রাপালা লিখেছেন, যা সেই সময় হিট।

advertisement

View More

প্রথমে অ্যামেচার যাত্রা দিয়েই তাঁর পথচলা শুরু। পরবর্তীতে প্রায় তিন বছর পেশাদার যাত্রা দলে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে চাকরি পাওয়ার পর যাত্রাদল ও সংলাপ লেখা ছাড়তে হয় তাঁকে। প্রথম জীবনে পূর্ব মেদিনীপুরে চাকরি পান সুকুমারবাবু। পরে অবশ্য বদলি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার মনোহরপুরে আসেন।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপ্তি, রিচাদের উত্থান বাংলার এই অ্যাকাডেমি থেকে! হাওড়ায় অনুশীলন বিশ্বজয়ীদের
আরও দেখুন

অন্যদিকে ধীরে ধীরে যাত্রার কদর কমতে থাকে। এখন আর যাত্রার সংলাপ লেখা হয় না। তবুও প্রায় ৩০ বছর আগের হাতে লেখা সেই যাত্রার সংলাপের পান্ডুলিপি গুছিয়ে রেখেছেন এই প্রধান শিক্ষক। এখনও তাঁর গলায় সেই জোর। যেকোনও চরিত্রের দু-চার কলি যেন এক আলাদা পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে প্রধান শিক্ষকের এই ভাবনা এবং যাত্রাশিল্পে এতদিন কাটানো, সংস্কৃতি জগতের এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে তিনি একাধিক প্রবন্ধ, ছোটগল্প এবং কবিতা লিখছেন। প্রধান শিক্ষকের এই গুণ অবাক করেছে সকলকে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur: মেদিনীপুরের শিক্ষকের বহুমুখী প্রতিভা! যাত্রার দুনিয়ায় ব্যাপক সুনাম, এখন লেখেন গল্প-কবিতা! গুণী হেডমাস্টারকে চিনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল