রাজ্যের ২২টি জেলা সদরে টেলিমেডিসিন ইউনিট গড়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিট গড়তে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের ২২ টি আয়ুশ টেলিমেডিসিন ইউনিটের জন্য ৮২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত আয়ুশের টেলিমেডিসিন পরিষেবা মিলবে।
advertisement
আরও পড়ুন : মদন মিত্রের জন্মদিন! মোমে আগুন জ্বালিয়ে, কেক খাইয়ে পাশে থাকলেন মধুমিতা
আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথির মতো চিকিৎসা পরিষেবা আয়ুশের অধীনে রয়েছে। করোনাকালের সময় থেকেই রাজ্যে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছে। তখন করোনার চিকিৎসা সহ আণুষঙ্গিক পরামর্শ দিতে তা চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে করোনা বিদায় নেওয়ার পর সেই টেলিমিডিসিন ইউনিট থেকে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চালু করা হয় এই টেলিমেডিসিন পরিষেবা। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন সহজেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে না এসে ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। চিকিৎসকও ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেন। ফলে সহজেই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : এই ফুচকা দেখলেই জিভে জল আসে! ৪০ বছর ধরে একই স্বাদ রতনদার ফুচকার স্টলে
অ্যালোপ্যাথির এই সাফল্যকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছৈ দিতে এবার আয়ুশের ক্ষেত্রেও টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিটি জেলায় আয়ুশ টেলিমেডিসিন ইউনিট খোলা হচ্ছে। আয়ুশের জেলার মেডিক্যাল অফিসার এই ইউনিটের নোডাল অফিসার হিসেবে থাকবেন। প্রতিটি ইউনিটে একজন আয়ুশ মেডিক্যাল অফিসার ও একজন টেকনিশিয়ান থাকবেন। প্রতিটি ইউনিটে দুটি মোবাইল নম্বর থাকবে। যে নম্বরে ফোন করে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা পরিষেবা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সেখানে ফোন সাধারণ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত অসুস্থতা। পোস্ট কোভিড সমস্যা, সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যাবে। টেলিমেডিসিন পরিষেবা নেওয়া রোগীদের প্রয়োজন হলে বাড়ির কাছাকাছি আয়ুশ ডিসপেনসারিতে রেফার করা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, "রাজ্যের অনেক প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা সাঁওতালি, নেপালি বা অন্য স্থানীয় ভাষায় কথা বলে থাকেন। তাই তাঁদের মধ্যেও এই পরিষেবা জনপ্রিয় করতে ওই সব ভাষাতেও টেলিমেডিসিন পরিষেবা দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।"