রাজ্য পরিবহণ দফতরের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টোটো রেজিস্ট্রেশনের ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের জেলায় জেলায় দিন দিন বেড়ে চলেছে অবৈধ টোটোর সংখ্যা। ফলে যানজট তৈরী হচ্ছে শহরে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে তৈরী হচ্ছে টোটো। যেগুলির কোনও চেসিস নম্বর থেকে ইঞ্জিন নম্বর এবং টিসিআর অথবা ফিটনেস কিছুই নেই। ফলে যাত্রী নিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে নিরাপত্তার প্রশ্ন থেকেই যায়। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই টোটো নিয়ে গত ৯ অক্টোবর রাজ্য সরকারের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয় ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত টোটোর রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ৩০ নভেম্বরের পর যে সমস্ত টোটো রেজিস্ট্রেশন থাকবে না সেগুলি বাতিল হয়ে যাবে।
advertisement
যদিও সরকারি এই নির্দেশনামা সমন্ধে অবগত নয় জেলার টোটো চালকরা। জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও প্রচারও চোখে পড়ছে না। কীভাবে রেজিস্ট্রেশন হবে সে বিষয়ে অবগত করা হয়নি টোটো ইউনিয়নদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত সোমবার হুগলি আরটিও দফতরের ই-রিক্সা প্রস্তুতকারকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। তবে সাধারণ টোটো চালকদের মধ্যে এই রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিজের রেলিং ভেঙে হুড়মুড়িয়ে নদীতে পড়ল বালি বোঝাই ডাম্পার! শোরগোল এলাকায়, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “টোটোকে সরকারি পরিবহন আইনের আওতায় আনতে রেজিস্ট্রেশনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে গরিব মানুষের রুটিরুজির কথা মাথায় রেখে যে সমস্ত টোটোর ইঞ্জিন নম্বর এবং চেসিস নম্বর নেই সেগুলিকে এখনই বাতিল করা হচ্ছে না। দু’বছর সময় দেওয়া হয়েছে তারপর বাতিল হয়ে যাবে ওই সমস্ত টোটোগুলি। বেআইনিভাবে একাধিক জায়গায় টোটো তৈরি, সেগুলি রাস্তায় ছাড়া হলে যানজটে সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সমস্ত টোটোর বৈধ কাগজ না থাকায় যাত্রী নিরাপত্তার একটা প্রশ্ন থেকে যায়। বৈধ প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে টোটো কিনতে হবে। প্রত্যেক টোটোয় গাড়ির নম্বর এবং কিউ আর কোড থাকবে। ফলে নজরদারিতেও সুবিধে হবে।”