নদিয়ার হাঁসখালিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর পথ নিরাপত্তা নিয়ে আরও কঠোর হতে চলেছে রাজ্য। পাশাপাশি দুর্ঘটনা হলে যাতে দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়, তার পরিকাঠামো গড়ে তোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার জেলায় জেলায় একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সোমবার মুখ্যসচিব বৈঠক করেন প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে। নবান্ন সূ্ত্রে খবর, সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, রাস্তার ধারে যে সরকারি হাসপাতালগুলি রয়েছে সেগুলিতে ‘ট্রমা কেয়ার সেন্টার’ গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য সেই হাসপাতালগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। বাড়াতে হবে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৭ জনের মৃত্যু! হাঁসিখালিতে মারাত্মক দুর্ঘটনা, শ্মশান যাত্রাতেই সব শেষ...
এ ছাড়া জেলায় জেলায় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ কোথায় কোথায় রয়েছে, সেগুলিও খুঁজতে বার করতে হবে পুলিশকে। শীতকালে রাতের দিকে কুয়াশা বাড়বে, তাই পুলিশকেও প্রয়োজনীয় নজরদারি করতে হবে সেই সময়ে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্থদের কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য পুলিশের নজরদারি আরও বাড়াতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় শক্তিবৃদ্ধিতে খুশির জোয়ার? 'সাগর কিনারে' খোশমেজাজে কুণাল ঘোষ! ভাইরাল ভিডিও
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে একটি শ্মশানযাত্রীর দল শনিবার গভীর রাতে আসছিল নবদ্বীপে। নদিয়া জেলার হাঁসখালির কাছে একটি পাথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে এই দলের লরিটি। শনিবার ভোর রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ জনের। ওই গাড়িতে ছিলেন ৩৫-৪০ জন। ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল। মনে করা হচ্ছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই পথ নিরাপত্তা নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
