পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম সাইফুদ্দিন হক ওরফে আরমান (২৩)। রায়দিঘি থানার পুলিশকর্মী বিপুল কর্মকার ওই যুবককে প্রায়শয়ই এদিক-ওদিক ঘুরতে দেখতেন। সন্দেহ হওয়ায় যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। প্রথমে তেমন কোনও উত্তর পেতেন না। মাঝেমধ্যে থানার পক্ষ থেকে যুবককে খাবারও দেওয়া হত। সম্প্রতি হঠাৎ নিজের পরিচয়ের কিছুটা জানান তিনি। এরপর রায়দিঘি থানার আইসি মানস চ্যাটার্জির উদ্যোগে তাঁকে বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরা হল না! রাস্তাতেই সব শেষ! মর্মান্তিক পরিণতি মালদহের পড়ুয়ার
রায়দিঘি থানার পুলিশকর্মী বিপুল কর্মকার ওই যুবকের ঠিকানা খুঁজে বের করেন। বিহারের দ্বারভাঙা জেলার ইচরাহাটাতে তাঁর পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। জানামাত্রই কর্ণাটকে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যাওয়া সাইফুদ্দিনের দাদা আজিমুদ্দিন হক রায়দিঘি থানায় ছুটে আসেন। জানা যায়, দু’বছর ধরে ওই যুবকের খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কীভাবে ওই যুবক রায়দিঘিতে এলেন সেটা জানা যায়নি। তবে ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। দু’বছর পর ওই যুবককে সুষ্ঠুভাবে বাড়িতে ফেরানোয় খুশি সকলেই। ভাইকে খুঁজে পাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আজিমুদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন পর ভাইকে কাছে পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি। এই কাজের জন্য রায়দিঘি থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ওই যুবকের পরিবার।