পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিসংখ্যান বলছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় মোট ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পাঁচটি জেলা পরিষদ রয়েছে। ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি অবশ্যই ৬৬ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি।পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। মূলত এই নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতে লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। যদিও নির্দলও এক অন্যতম ফ্যাক্টর হতে চলেছে নন্দীগ্রামে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার সেই ভোট ব্যাঙ্ক একদিকে যেমন ধরে রাখা বিজেপির অন্যতম টার্গেট, তেমনি নিজেদের ভোট বাড়ানো অন্যতম চ্যালেঞ্জ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে।
advertisement
যদিও ভোট পর্বের আগে থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বহিরাগতদের নন্দীগ্রামে ঢোকানো হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রচারের শেষ দিন নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ থেকে তিনি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি নন্দীগ্রামে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।
অন্যদিকে বাকি ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের লড়াই হতে চলেছে বাম ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম রাজনৈতিক অশান্তি তৈরি না হয় তার জন্য বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছিল। যদিও বিজেপির অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী একাধিক বুথে মোতায়েন করা হয়নি। অন্যদিকে গণনার দিন তিনি নিজে নন্দীগ্রাম থাকবেন তা আগেই ঘোষণা করে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলতো এদিনের লড়াই যথেষ্ট যে হাই ভোল্টেজ হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়