এদিন নিরাপত্তা পেয়ে নওশাদ বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েও কোনওরকম নিরাপত্তা না পাওয়ায় মাননীয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল আমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে। সেই অনুযায়ী আজকে বেলা ৪টের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (CISF) সাতজনের একটা টিম আমার বাড়িতে এসে পৌঁছয় এবং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক পোলে ঝুলছিল ন্যাড়া তার…. ছুঁতেই..! বৃষ্টিভেজা ভোরে ভয়াবহ ঘটনা, কাঠগড়ায় রেল
একই সঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁকে কোন ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয় এখনও স্পষ্ট হয়নি৷ আগামিকাল, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর নিরাপত্তা বিষয়ক মামলার শুনানি রয়েছে৷ হয়ত সেখানেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে জানান নওশাদ। প্রসঙ্গত, আগামিকালই হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
ভোটের মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়৷ বোমা-গুলির সংঘর্ষে আইএসএফ এবং তৃণমূলের তিন কর্মীর মৃত্যুও হয়৷ জখম হন বেশ কয়েকজন৷ ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে নবান্নেও চলে গিয়েছিলেন নওশাদ। কিন্তু দেখা পাননি মমতার। এমনকি, তিনি যে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কায় রয়েছেন তা-ও প্রকাশ্যেই জানান নওশাদ৷
নওশাদ বলেছিলেন, ‘‘আমাকে টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। এর আগেও আমি রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি, কিন্তু পাইনি। এ বার আমি নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব।’’
এর পরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জ়েড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সব শুনে বিচারপতি জানান, রাজ্যের অনেক বিধায়কই আলাদা করে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ভাঙড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই সেখানকার বিধায়ক হিসাবে নওশাদও নিরাপত্তা পাবেন। এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্টও জমা দিতে বলে আদালত৷